মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর ছেলে এবং এনসিপি নেতা জীশান সিদ্দিকীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ বড় সাফল্য পেয়েছে। ইন্টারপোলের সাহায্যে অভিযুক্ত মহম্মদ দিলশাদ মহম্মদ নবেদকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো থেকে গ্রেফতার করে ভারতে আনা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জীশানকে ইমেলের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া এবং ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই গ্রেফতারের পর মামলার তদন্ত এখন মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে।
১০ কোটির দাবি
ঘটনাটি ২১ এপ্রিলের। জীশান সিদ্দিকী একটানা তিন দিন ধরে হুমকি-পূর্ণ ইমেল পান। এই ইমেলগুলোতে অভিযুক্ত নিজেকে ডি-কোম্পানির সদস্য বলে জানায় এবং ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পাশাপাশি হুমকি দেয় যে, যদি টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে তার পরিণতিও তার বাবার মতোই হবে। এই বিষয়ে জীশান তৎক্ষণাৎ বান্দ্রা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যার পরে পুলিশ তার নিরাপত্তা বাড়ায় এবং অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ২৩ এপ্রিল এই মামলাটি তদন্তের জন্য মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দেওয়া হয়।
রেড কর্ণার নোটিশের পর গ্রেফতার
তদন্তের সময় জানা যায় যে, হুমকি দেওয়া অভিযুক্ত বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা, যে সেই সময় ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাস করছিল। তার পরিচয় সামনে আসার পর ২৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার (LOC) জারি করা হয়। এর পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড কর্ণার নোটিশ জারি হয়, যার অধীনে স্থানীয় এজেন্সিগুলো তাকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাকে ভারত ফেরত পাঠিয়ে মুম্বাই আনা হয়েছে, যেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তদন্তে আরও खुलाসার সম্ভাবনা
মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখন এই মামলার গভীরে তদন্ত করছে। আধিকারিকরা বলছেন যে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তের কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া গেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি শুধুমাত্র মুক্তিপণের মামলা নয়, বরং একটি বড় নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। পুলিশ এটাও খতিয়ে দেখছে যে, অভিযুক্তের ডি-কোম্পানির সঙ্গে কোনও বাস্তব সম্পর্ক আছে কিনা অথবা সে শুধু ভয় দেখানোর জন্য এই নাম ব্যবহার করেছে।
এই গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই মনে করা হচ্ছে যে, আগামী দিনে এই মামলার সঙ্গে জড়িত আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ खुलासा হতে পারে, যা সাইবার ক্রাইম এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সূত্রগুলো সামনে আনতে পারে।