গোরখপুরের সত্যদীপ গার্লস হস্টেলে JEE-মেইনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এমন এক ছাত্রী অদিতি মিশ্রা আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনায় শিল্পপতি গৌতম আদানী সকলকে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন।
UP News: বেতিয়াঁহাটা অবস্থিত সত্যদীপ গার্লস হস্টেলে বুধবার দুপুরে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। JEE-মেইনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এমন অদিতি মিশ্রা, অর্থাৎ রিমঝিম নামের এক ছাত্রী নিজের ঘরে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনার পর সমগ্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
গৌতম আদানী প্রেরণাদায়ক বার্তা দিয়েছেন
এই দুঃখজনক ঘটনায় শিল্পপতি গৌতম আদানী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি নিজের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন:
"আশার বোঝা বহন করে একজন মেধাবী মেয়ের এভাবে চলে যাওয়া হৃদয়বিদারক। জীবন যেকোনো পরীক্ষার চেয়ে বড় – এই কথা অভিভাবকদের নিজেদেরও বুঝতে হবে এবং সন্তানদেরও বুঝিয়ে দিতে হবে। আমি পড়াশোনায় খুবই সাধারণ ছিলাম এবং অনেকবার ব্যর্থও হয়েছি, কিন্তু প্রতিবারই জীবন নতুন পথ দেখিয়েছে। আমার আপনাদের কাছে এটুকুই অনুরোধ – ব্যর্থতাকে কখনোই শেষ সীমা ভাববেন না। কারণ জীবন সবসময় দ্বিতীয় সুযোগ দেয়…!"
JEE-মেইন পরীক্ষায় ব্যর্থতা কি আত্মহত্যার কারণ?
অদিতি মূলত সন্তকবীরনগর জেলার মেহদাওয়াল অবস্থিত মিশ্রৌলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি গোরখপুরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে পড়াশোনা করছিলেন এবং সম্প্রতি JEE-মেইন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষায় সফল না হওয়ায় তিনি মানসিক চাপে ছিলেন, যার ফলে তিনি এই আত্মঘাতী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ঘর থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে
পুলিশ অদিতির ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে, যেখানে তিনি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন:
"মা-বাবা, আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আর সহ্য করতে পারছি না। তোমরা সবসময় সুখে থেকো। এটা ভাবো না যে তোমাদের কারণে আমি এটা করেছি। আমি তোমাদের খুব ভালোবাসি।"
এই নোটটি পরিবার ও বন্ধুদের গভীর শোকে নিমজ্জিত করেছে।
কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে?
অদিতি নিজের হস্টেলের ঘরে একা ছিলেন। তার রুমমেট কোনও কাজে বাইরে গিয়েছিল। দুপুর ১২:৩০ টায় যখন সে ফিরে এলো, তখন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বারবার ডাকা ও নক করার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। দরজা ভেঙে ফেলার পর অদিতির ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ তদন্তে নেমেছে
ঘটনার খবর পেয়ে ক্যান্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। অদিতির বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে যে, কি সে পড়াশোনার চাপে ছিলেন নাকি অন্য কোন কারণ ছিল? তার মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেরও তদন্ত চলছে।