আলিগড়-কানপুর হাইওয়েতে ভয়াবহ সংঘর্ষ: জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

আলিগড়-কানপুর হাইওয়েতে ভয়াবহ সংঘর্ষ: জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

আলিগড়-কানপুর হাইওয়েতে একটি গাড়ি ও ক্যান্টারের ভয়াবহ সংঘর্ষে পাঁচজন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। দ্রুত গতি এবং টায়ার ফেটে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ চেসিস নম্বর থেকে মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করছে।


আলিগড়: আকরাবাদ থানা এলাকায় বুধবার সকালে একটি গাড়ি ও ক্যান্টারের ভয়াবহ সংঘর্ষে পাঁচজনের জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। গাড়িটি এটা থেকে আলিগড়ের দিকে যাচ্ছিল এবং ক্যানটারটি অন্য দিক থেকে আসছিল। গাড়ির টায়ার ফেটে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ডিভাইডার ভেঙে সরাসরি ক্যানটারটির সঙ্গে ধাক্কা খান। সংঘর্ষের পরপরই দুটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। মৃতদের মধ্যে একজন ক্যানটার চালক, একজন মহিলা, একটি শিশু এবং একজন পুরুষ রয়েছেন। পুলিশ চেসিস নম্বর থেকে মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের সদস্যদের জানাবে।

আলিগড়-এটা হাইওয়েতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি আকরাবাদ থানা এলাকায় ঘটে। গাড়িটি এটা থেকে আলিগড়ের দিকে যাচ্ছিল, যখন ক্যানটারটি আলিগড় থেকে এটার দিকে আসছিল। গাড়ির গতি ছিল প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। হঠাৎ টায়ার ফেটে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং গাড়িটি ডিভাইডার ভেঙে অন্য লেনে চলে যায়।

অন্যদিকে, ক্যানটারটি সেই সময় সামনে থেকে আসছিল। সংঘর্ষ এত তীব্র ছিল যে দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেন। আগুন নেভাতে প্রায় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে।

দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু

দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এই ঘটনা থেকেই অনুমান করা যায় যে, যখন ফায়ার ব্রিগেড আগুন নেভাতে সফল হয়, তখন মৃতদেহগুলির কেবল কঙ্কালই অবশিষ্ট ছিল। মৃতদের মধ্যে একজন ক্যানটার চালক, একজন মহিলা, একটি শিশু এবং একজন পুরুষ রয়েছেন। এই দুর্ঘটনা এতটাই মর্মান্তিক ছিল যে কারও বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ ছিল না।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে দুর্ঘটনার পর রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। আগুন এবং ধোঁয়ার কারণে আশেপাশের দৃশ্য ভীতিকর দেখাচ্ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি বডি ব্যাগে ভরে মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে।

মৃতদের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং তদন্ত

পুলিশ জানিয়েছে যে মৃতদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। গাড়ির নম্বর প্লেট পুড়ে যাওয়ায় গাড়িটি কোথাকার ছিল তা জানা যায়নি। পুলিশ এখন গাড়ির চেসিস নম্বরের ভিত্তিতে মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন যে, চেসিস নম্বর থেকে পরিচয় জানা যাওয়ার সাথে সাথেই পরিবারের সদস্যদের দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হবে। পুলিশ আশেপাশের লোকজন এবং পথচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, যাতে দুর্ঘটনার কারণ সম্পূর্ণরূপে জানা যায়।

Leave a comment