ফিলিস্তিন ক্রমাগত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। এর মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস হামাসের প্রতি কঠোর মনোভাব দেখিয়ে বলেছেন যে গাজায় তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং তাদের যোদ্ধাদের অবিলম্বে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।
Palestinian: ফিলিস্তিন ক্রমাগত আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পাচ্ছে। কানাডা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দেশগুলি এখন ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাষ্ট্র হিসাবে মেনে নিয়েছে। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস জঙ্গি সংগঠন হামাসের উপর সরাসরি আঘাত হেনে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে গাজায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং তাদের যোদ্ধাদের অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।
হামাসের কাছে আত্মসমর্পণের দাবি
মাহমুদ আব্বাস তাঁর ভাষণে বলেছেন যে হামাস এবং এর সাথে যুক্ত অন্যান্য গোষ্ঠীগুলিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (Palestinian Authority) এর কাছে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি স্পষ্ট করেছেন যে এখন গাজা উপত্যকায় হামাসের কোনো হস্তক্ষেপ চলবে না।
তিনি এই কথাটি সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (UN) এর শান্তি সম্মেলনকে অনলাইনে संबोधित করার সময় বলেছেন। আসলে, আমেরিকা তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল, যার কারণে তিনি সরাসরি সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি। তা সত্ত্বেও, তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন।
ইসরায়েলে হামলার নিন্দা
মাহমুদ আব্বাস এই উপলক্ষে ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাস দ্বারা ইসরায়েলে চালানো হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন যে নাগরিকদের হত্যা এবং অপহরণ কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাঁর মতে, “আমরা ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবরে হামাসের কার্যকলাপের নিন্দা জানাই, যার মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিকদের হত্যা ও অপহরণ অন্তর্ভুক্ত।” আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, সেই দিন হামাস ইসরায়েলের সীমানায় ঢুকে ১২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল এবং শত শত নাগরিককে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এক অত্যন্ত ভয়াবহ অধ্যায় হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির গতি
ফিলিস্তিনকে এখন পর্যন্ত ১৫২টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। সম্প্রতি ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিল।
এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ফিলিস্তিনের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক বিজয় হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিন একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছিল এবং এখন একে একে বড় দেশগুলি এই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইউরোপে মতভেদ
তবে, ইউরোপে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ইতালি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। এর ফলে ইতালির রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মেলোনি সরকারের বিরুদ্ধে লোকেরা ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানানোর দাবি করছে।