দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ২০২৫ সুপার-৪ এর হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ভারত পাকিস্তানকে একতরফাভাবে হারিয়েছে। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রানের স্কোর খাড়া করে, কিন্তু ভারত ১৮.৫ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন করে নেয়।
IND vs PAK: এশিয়া কাপ ২০২৫ এর রোমাঞ্চকর ম্যাচে ভারত পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দারুণ জয় নথিভুক্ত করেছে। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭১ রান তোলে এবং আশা করেছিল যে এই স্কোর ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট হবে, কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা এটিকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে দেয়। টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তারকা শুভমন গিল (৪৭ রান) এবং অভিষেক শর্মা (৭৪ রান) এর ঝড়ো জুটি ম্যাচটিকে ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দেয়।
অবশেষে তিলক বর্মা ১৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কাসহ অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলে শাহীন আফ্রিদির বলে বাউন্ডারি মেরে ১৮.৫ ওভারেই ভারতকে জয় এনে দেন। এই জয় আরও একবার প্রমাণ করে দিল যে ক্রিকেটের দিক থেকে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
পাকিস্তানের ইনিংস: ফারহানের অর্ধশতক
টস জিতে ভারত বোলিং বেছে নেয়। পাকিস্তানের শুরুটা ভালো ছিল না। তৃতীয় বলেই সাহেবজাদা ফারহানের ক্যাচ অভিষেক শর্মা ফেলে দেন এবং ফারহান এর সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন। তিনি ৪৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল। স্যাম আয়ুব (২১ রান) তাকে সঙ্গ দেন এবং দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রান যোগ করেন। তবে ভারতীয় বোলাররা মাঝের ওভারগুলোতে চাপ তৈরি করে। শিবম দুবে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন, তিনি ২ উইকেট নেন। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদীপ যাদব একটি করে উইকেট নেন।
পাকিস্তান শেষ ওভারগুলোতে মোহাম্মদ নওয়াজ (২১ রান) এবং ফাহিম আশরাফ (অপরাজিত ২০ রান) এর ইনিংসের সাহায্যে স্কোর ১৭১/৫ পর্যন্ত পৌঁছায়। ভারতের তারকা বোলার জসপ্রীত বুমরাহ ব্যয়বহুল প্রমাণিত হন এবং তিনি ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেন।
ভারতীয় ব্যাটিং: গিল-অভিষেকের ঝড়
১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দল দুর্দান্ত শুরু করে। অভিষেক শর্মা শাহীন আফ্রিদির বলে ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন এবং একের পর এক বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি তার গুরু যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ড ভাঙেন, যিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৯ বলে দ্রুততম অর্ধশতক করেছিলেন। অভিষেক ৩৯ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কার সাহায্যে ৭৪ রান করেন।
অন্যদিকে, শুভমন গিল ২৮ বলে ৪৭ রান করেন এবং দুজনে প্রথম উইকেটে ১০৫ রান যোগ করে ভারতকে মজবুত অবস্থানে নিয়ে যান। গিলের আউট হওয়ার পর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব কোনো রান না করেই হারিস রউফের শিকার হন। এদিকে, শতকের দিকে এগিয়ে যাওয়া অভিষেকও আবরার আহমেদকে ছক্কা মারার প্রচেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে বসেন।
এরপর তিলক বর্মা (অপরাজিত ৩০ রান, ১৯ বল) এবং সঞ্জু স্যামসন (১৩ রান, ১৭ বল) দায়িত্ব নেন। যদিও স্যামসন আউট হয়ে যান, তিলক বর্মা শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ভারতকে জয় এনে দেন। তিনি শাহীন আফ্রিদির বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন।