Bankura News: শরতের আকাশে সাদা মেঘ ভেসে উঠতেই বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরায় ঢাকিদের ঘরে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা। বৃষ্টির পর আবহাওয়া খানিকটা পরিষ্কার হতেই ঢাক সারানোর কাজ চলছে জোরকদমে। গ্রামে প্রায় ১০–১৫টি ঢাকি পরিবার সারা বছর অপেক্ষা করে দুর্গাপুজোর জন্য। এই চারদিনই তাদের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস। ঢাকের তালেই বাঙালি বুঝে নেয় পুজোর আগমন বার্তা। কাশফুলের ভেতর দিয়ে সর্পিল রাস্তা পেরিয়ে কেঞ্জাকুরায় পৌঁছলেই শোনা যায় পুজোর আগাম সুর।
কাশফুলের মাঝে পুজোর বার্তা
শরতের আকাশে তুলোর মতো মেঘ আর কাশফুলের দোলা যেন আগেই বলে দেয়, পুজো দরজায়। বাঁকুড়ার শহরতলি জুড়ে এখন পুজোর আবহ। গ্রামবাংলার এই প্রকৃতিই যেন ঢাকিদের প্রাণে জাগিয়ে তোলে নতুন আশার আলো।
সর্পিল রাস্তায় কেঞ্জাকুরা
বাঁকুড়া শহরের অদূরে কেঞ্জাকুরা গ্রামের পথে যত এগোনো যায়, ততই চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ প্রান্তর আর কাশফুলের সারি। এখানেই রয়েছে ঢাকিদের ঘর। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ঢাক বাজানোই জীবিকার মূল ভরসা এই পরিবারের।
ঢাকিদের আয়ের মৌসুম দুর্গাপুজো
গ্রামে রয়েছে প্রায় ১০–১৫টি ঢাকি পরিবার। বছরের অন্য সময়ে আয় অল্প হলেও দুর্গাপুজোর চারদিনই তাদের ভরসার দিন। এই সময়ে ভালো অফার মেলে। ঢাকি সাধন কর্মকার জানালেন, চার দিনের পুজোয় আমরা প্রায় ১০ হাজার টাকা উপার্জন করি। এখন থেকেই ঢাক সারানো ও প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকের সুরে বাঙালির মেলোডি
ঢাক শুধু বাদ্যযন্ত্র নয়, এটি বাঙালির উৎসবের সুর। পুজোর আগে ঢাকের আওয়াজ মানেই ডঙ্কা বাজা। ঢাকের তাল যেন বাঙালির মনে পুজোর আবেগ আরও গভীর করে তোলে। তাই যতই দুঃসময় আসুক, ঢাকির হাতে থাকুক না থাকুক সারা বছরের রোজগার, পুজোর ঢাকের তালে প্রাণ ভরে ওঠে প্রতিটি বাঙালির।কাশফুল, শরতের মেঘ আর ঢাকের আওয়াজ একসঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করছে পুজোর আবহ। বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরার ঢাকিদের কাছে দুর্গাপুজো শুধু আয় নয়, আবেগ ও ঐতিহ্যের উৎসব। আগামী দিনে তারা রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দেবেন ঢাকের সুর। পুজোর উৎসব সম্পর্কে আরও আপডেট জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা গ্রামে শরতের মেঘ আর কাশফুলের আবহেই শুরু হয়েছে ঢাকিদের পুজোর প্রস্তুতি। দুর্গাপুজোর সময়ই বছরের বড় আয় হয় ঢাকিদের। তাই এখন থেকেই চলছে ঢাক সারানো ও বাঁধার কাজ। পুজোর আগে কাশফুল, মেঘ আর ঢাকের মেলোডিই বাঙালির কানে শোনাচ্ছে উৎসবের ডঙ্কা।