ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুন ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়েও অধরাই আততায়ী তদন্তে শূন্য গতি ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা

ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুন ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়েও অধরাই আততায়ী তদন্তে শূন্য গতি ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

রাজ্জাক খাঁ হত্যাকাণ্ডে অচল প্রশাসন! ভাঙড়ে দিনেদুপুরে তৃণমূল নেতা রাজ্জাক খাঁ খুন হয়ে যাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার বেশি কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ, প্রশ্ন উঠছে—তদন্তে কি আদৌ অগ্রগতি হচ্ছে?

নেতা খুনের পর হঠাৎ নিরাপত্তা বলয়, জনতার প্রশ্ন— খুনি না ধরা পড়তেই নিরাপত্তা কেন?

নিরাপত্তা নিয়ে দ্বৈতনীতি! রাজ্জাক খাঁ খুনের ঘটনার পরপরই চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের প্রধান নিজাম মোল্লা, অহিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা সাবিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য বাহারুল ইসলাম এবং মহাসিন গাজিকে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। অথচ পুলিশ বলছে, থানা পর্যায়ে ফোর্সের অভাব রয়েছে। ফলে তদন্ত থমকে, আর নেতারা পাচ্ছেন বাড়তি নিরাপত্তা!

তদন্তে ঢিমেতালে পুলিশ, তবু নেতাদের ঘিরে নিরাপত্তা বলয়— প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব নিয়ে সরব সাধারণ মানুষ

‘আমরা নিরাপদ নই, নেতা বাঁচুন’ নীতি?খুনের তদন্তে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি না হলেও প্রশাসন যেন অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে নেতাদের নিরাপত্তায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ, “আমরা কি ভোটের পরে অদৃশ্য হয়ে গেলাম?”— এই প্রশ্নে জ্বলছে ভাঙড়। প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছেন অনেকে।

পুলিশের অভ্যন্তরেই অসন্তোষ! তদন্তে বিলম্বের দায় ফোর্স ঘাটতি, তবু নেতাদের জন্য রক্ষীবাহিনী?

ভাঙড় থানাসহ একাধিক থানায় পর্যাপ্ত ফোর্স নেই বলে স্বীকার করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অথচ, গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তদন্ত থেমে থাকলেও নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফোর্স বরাদ্দ— এই বৈষম্যে পুলিশের অন্দরেও তৈরি হচ্ছে চাপা ক্ষোভ।প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই প্রশ্ন! খুনির খোঁজে না গিয়ে নেতাদের নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে প্রশাসন, অভিযোগ স্থানীয়দের|

রাজনৈতিক চাপের প্রভাব কি তদন্তে?

স্থানীয়দের অভিযোগ, তদন্তে গতি আনতে প্রশাসনের মধ্যে সদিচ্ছা নেই। বরং রাজনৈতিক চাপে নেতাদের ‘প্রটেকশন’ দিতেই ব্যস্ত পুলিশ-প্রশাসন। প্রশাসনের এই অগ্রাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই তীব্র প্রশ্ন উঠেছে ভাঙড়বাসীর মধ্যে।

Leave a comment