ভোপালে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর ১১ বছরের ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

ভোপালে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর ১১ বছরের ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

ভোপালে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর আত্মহত্যা করেছে। ১১ বছরের এই শিশুর মৃত্যুতে পরিবার এবং পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, পুলিশ ঘটনার গভীর তদন্ত করছে।

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে এক অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা সামনে এসেছে। শহরের অশোক গার্ডেন এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির এক ১১ বছরের ছাত্রী বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনা পুরো পাড়াকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের গভীর শোকাহত করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর ছাত্রীর আত্মহত্যা

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন মেয়েটি তৃতীয় মাসের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরেছিল। দুপুরের দিকে সে তার ভাই এবং বন্ধুদের সাথে বাড়ির বাইরে খেলছিল। হঠাৎ করে সে বাড়িতে ফিরে আসে এবং টিনের চালের নিচে একটি কাঠের খুঁটির সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দেয়। পরিবার জানিয়েছে যে বাবা-মা দুজনেই একটি বেসরকারি চাকরিতে ব্যস্ত ছিলেন এবং সেই সময় ডিউটিতে গিয়েছিলেন।

বড় ভাই ফিরে আসার পরই ঘটনাটি জানা যায়। যখন সে তার বোনকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে, তখন সে হতবাক হয়ে যায় এবং চিৎকার করে ওঠে। প্রতিবেশীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হামিदिया হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

পুলিশ তদন্তে ব্যস্ত

অশোক গার্ডেন থানার পুলিশ জানিয়েছে যে ছাত্রীটির আত্মহত্যার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তার আশেপাশে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক দৃষ্টিতে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে, তবে পুলিশ খুন বা অন্য কোনো কারণের সম্ভাবনাও তদন্তে রাখছে।

পরিবারের সদস্যদের बयान এখনও নেওয়া হয়নি। পুলিশ আশেপাশের লোকদের কাছ থেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে যাতে মেয়েটির হঠাৎ করে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়।

শিশুটির মৃত্যুতে পাড়ায় শোক

শিশুটির মৃত্যুর পর পুরো পাড়ায় শোকের ঢেউ বয়ে গেছে। শিশুটির খেলার সাথী এবং প্রতিবেশীরা এই ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত। স্থানীয় লোকেরা বলছে যে নিষ্পাপ মেয়েটি খুবই মিশুক এবং হাসিখুশি ছিল। তার হঠাৎ মৃত্যু পুরো এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।

সামাজিক এবং শিক্ষাগত বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে শিশুদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক চাপের সমস্যা বাড়ছে। বাবা-মা এবং শিক্ষকদের শিশুদের আবেগ এবং মানসিক অবস্থার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

Leave a comment