বিহারের কাইমুর জেলায় এক বিবাহিত মহিলা তার ভগ্নিপতির সাথে পালিয়ে গেছেন, বাড়ি থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা মূল্যের গহনা এবং ১ লক্ষ টাকা নগদ নিয়ে গেছেন। পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দু'জনকেই উদ্ধার করেছে।
কাইমুর: বিহারের কাইমুর জেলার ভভুয়া থানা এলাকার এক বিবাহিত মহিলা তার ভগ্নিপতির সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। মহিলা তার সাথে ১.৫ লক্ষ টাকার গহনা এবং ১ লক্ষ টাকা নগদও নিয়ে নিয়েছিলেন। স্বামীর অভিযোগের পর পুলিশ মোবাইল ট্রেসিং এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুজনের সন্ধান পায়। সোমবার সন্ধ্যা ৪টায় পুলিশ মহিলা এবং তার ভগ্নিপতিকে উদ্ধার করে। ভভুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুকেশ কুমার জানিয়েছেন যে, ঘটনার তদন্ত এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
মহিলা তার ভগ্নিপতির সাথে বাড়ি থেকে পলাতক
ভভুয়া থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা কয়েকদিন আগে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। স্বামী জানান যে, তার স্ত্রী তার সাথে দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের গহনা এবং প্রায় এক লক্ষ টাকা নগদ নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় পুরো পরিবার স্তম্ভিত হয়ে পড়ে।
আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা মহিলাকে খুঁজে বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সূত্র পাননি। এর মধ্যেই স্বামী ভভুয়া থানায় গিয়ে স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।
স্বামীর শালাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অভিযোগে স্বামী জানান যে, মহিলাকে তার শালাজ, যিনি মোহনিয়া থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা, প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। স্বামীর বক্তব্য ছিল যে, মহিলার উপর তার শালাজের প্রভাব ছিল এবং তিনি তাকে তার সাথে পালাতে রাজি করিয়েছিলেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ গুরুত্ব সহকারে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মোবাইল নম্বর ট্রেস করে এবং আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ মহিলা ও তার ভগ্নিপতির অবস্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভগ্নিপতি-শ্যালিকা নিরাপদে উদ্ধার
পুলিশ গোপন তথ্য পায় যে, মহিলা এবং তার ভগ্নিপতি জেলার অন্য কোনো গ্রামে লুকিয়ে আছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে ভভুয়া পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করে।
ভভুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুকেশ কুমার জানান যে, সোমবার সন্ধ্যা ৪টায় পুলিশ দল মহিলা ও তার ভগ্নিপতিকে খুঁজে বের করে। বর্তমানে দুজনেরই জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশের তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে যে, মহিলা কতদিন ধরে তার ভগ্নিপতির সাথে পালিয়ে ছিলেন এবং এই সময়ে তারা কী কী কার্যকলাপ করেছেন। পাশাপাশি, মহিলা কর্তৃক নিয়ে যাওয়া নগদ টাকা এবং গহনারও সন্ধান করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন জনসাধারণের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর পেলে অবিলম্বে পুলিশকে জানাতে। কর্মকর্তাদের মতে, এই ধরনের ঘটনায় সময়মতো তথ্য পেলে দ্রুত এবং নিরাপদে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।