রাজস্থানের বিসলপুর বাঁধে শ্রাবণের বৃষ্টিতে জলস্তর সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। সোমবার প্রশাসন ছয়টি গেট খুলে 60,100 কিউসেক জল বানাস নদীতে ছেড়ে দেয়। ডেপুটি সিএম প্রেমচাঁদ বৈরওয়া বাঁধ পরিদর্শন করেছেন।
Tonk: রাজস্থানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পানীয় জলের উৎস এবং জয়পুর সহ অনেক জেলার জীবনরেখা হিসাবে বিবেচিত বিসলপুর বাঁধ এই মুহূর্তে তার জলস্তরের শিখরে রয়েছে। শ্রাবণ মাসে একটানা বৃষ্টি এবং ক্যাচমেন্ট এলাকা থেকে দ্রুত জল আসার কারণে সোমবার বাঁধ প্রশাসন বড় পদক্ষেপ নিয়ে একসঙ্গে ছয়টি গেট খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে মোট 60,100 কিউসেক জল বানাস নদীর দিকে ছাড়া হয়েছে।
ক্যাচমেন্ট এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির প্রভাব
গত কয়েক দিন ধরে টঙ্ক, अजমের, ভিলওয়াড়া এবং आसपासের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির সরাসরি প্রভাব বিসলপুর বাঁধের জলস্তরে দেখা গেছে। প্রশাসনিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাঁধটি তার সর্বোচ্চ ভরাট ক্ষমতা 315.50 আরএল মিটারে পৌঁছেছে। ক্যাচমেন্ট এলাকার সমস্ত ছোট-বড় জলাধার এবং পুকুর ভরে উপচে পড়ছে। এই জল এখন দ্রুত বিসলপুর বাঁধে প্রবেশ করছে। ক্রমাগত বাড়তে থাকা চাপের কারণে বাঁধ প্রশাসন সোমবার সকালে গেট নম্বর 8, 9, 10, 11, 12 এবং 13 খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে চারটি গেট (9, 10, 11, 12) দুই মিটার করে খোলা হয়েছে।
ইতিহাসে এই প্রথম জুলাই মাসে এত গেট খোলা হল
বিসলপুর বাঁধের ইতিহাসে দেখা যায় যে সাধারণত বর্ষাকালের শেষে বা আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এতগুলো গেট খোলা হত। কিন্তু এইবার জুলাই মাসেই প্রথমবার একসঙ্গে ছয়টি গেট খোলা হল। এই দৃশ্য স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। প্রচুর মানুষ বাঁধ এলাকায় আসছেন এবং জলের তীব্র স্রোত দেখার জন্য উৎসুক। তবে, প্রশাসন বারবার সতর্ক করে দিয়েছে যে মানুষ যেন নদীর পাড় থেকে দূরে থাকে এবং কোনো ঝুঁকি না নেয়।
জেলা প্রশাসনের সতর্কতা জারি
গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টঙ্ক জেলা প্রশাসন নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে। বানাস নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব বিভাগ, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
ডেপুটি সিএমের পরিদর্শন
রাজস্থানের ডেপুটি সিএম প্রেমচাঁদ বৈরওয়া রবিবার সন্ধ্যায় বিসলপুর বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। তিনি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জলস্তর ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন। বৈরওয়া বলেছেন: 'বিসলপুর বাঁধ রাজ্যের জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলস্তরের উপর ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।'
জয়পুর ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির জন্য স্বস্তি
বিসলপুর বাঁধের ভরাট হওয়া এবং জলের প্রাচুর্য জয়পুর, अजমের, টঙ্ক এবং নাগৌর জেলার জন্য একটি ভালো খবর। এই বাঁধ থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এখন আগামী কয়েক মাস পর্যন্ত জল সংকট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শেষ।
পর্যটকদের মধ্যে চাঞ্চল্য
বাঁধের গেট খোলার পর থেকে এর ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। জলের তীব্র স্রোতের দৃশ্য দেখার জন্য প্রচুর মানুষ আসছেন। যদিও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং লোকজনকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভবিষ্যতের পরিস্থিতির উপর নজর
मौसम विभाग-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ক্যাচমেন্ট এলাকা থেকে জলের চাপ একইরকমভাবে বাড়তে থাকলে প্রশাসনকে আরও বেশি গেট খুলতে হতে পারে।