বিরাটি ও দুর্গানগরের মাঝে রেললাইন থেকে উদ্ধার যুগলের মৃতদেহ

বিরাটি ও দুর্গানগরের মাঝে রেললাইন থেকে উদ্ধার যুগলের মৃতদেহ
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার ব্যস্ত ট্র্যাকেই মিলল চাঞ্চল্যকর ছবি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ বিরাটি ও দুর্গানগর স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় এক যুবক ও এক যুবতীর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থলেই ছুটে আসে রেল পুলিশ।

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু, নাকি পূর্ব পরিকল্পিত আত্মহত্যা?

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। তবে এই মৃত্যু স্বাভাবিক না পরিকল্পিত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানায় রেল পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ট্রেনচালকের বয়ান, আচমকাই রেলপোস্টের সামনে

ডাউন ঠাকুরনগর-শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনের চালক ও গার্ড জানিয়েছেন, রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যুগল আচমকাই ট্রেন দেখে রেলপোস্টের দিকে চলে আসেন। তখন ট্রেনের গতি বেশি থাকায় থামানোর সময় পাননি চালক। মুহূর্তেই ধাক্কা লাগে।

রক্তাক্ত অবস্থা, পরিচয় মেলেনি এখনও, মেলেনি আত্মীয়ের খোঁজও

ঘটনাস্থল থেকে রেল পুলিশ যে দুটি দেহ উদ্ধার করে, তা ছিল ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত অবস্থায়। মহিলার পরনে ছিল হলুদ-লাল বাটিক প্রিন্টের শাড়ি, উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট। পুরুষের পরনে ছাই রঙের ট্রাউজার্স, উচ্চতা আনুমানিক ৫.৫ ফুট। এখনও তাঁদের পরিচয় অজানা।

স্থানীয়দের দাবি, একে অন্যের হাত ধরে দাঁড়িয়েছিলেন ট্র্যাকে

এলাকাবাসীর দাবি, যুগল একে অপরের হাত ধরে রেললাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। ট্রেন আসতেই তাঁরা একসঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যান। এই ছবি ঘিরে আরও বেড়েছে আত্মহত্যার সম্ভাবনা।

ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার, তদন্তে বারাসত জিআরপি

রেল পুলিশ মৃতদের কাছ থেকে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করেছে, যা এখন মূল সূত্র হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। শিয়ালদহ-বনগাঁ এবং বারাসত-হাসনাবাদ শাখার সমস্ত থানায় যুগলের ছবি পাঠানো হয়েছে শনাক্তকরণের জন্য। তদন্তের দায়িত্বে বারাসত জিআরপি।এই মৃত্যু আদৌ আত্মহত্যা, না কি কোনও অন্ধকারময় ষড়যন্ত্রের ফল, তা জানতে এখন অপেক্ষা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের। রেললাইন যেন সাক্ষী হয়ে থাকল এক অজানা সম্পর্কের অন্তিম দৃশ্যের।

Leave a comment