ছত্তিশগড়ের সরগুজা জেলায় প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী টিএস সিংদেও-এর ঐতিহাসিক সরগুজা প্যালেসে চুরির একটি গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার গভীর রাতে কোঠিঘরে এই ঘটনাটি ঘটে, যেখানে চোরেরা দেওয়াল টপকে প্রবেশ করে এবং পিতলের মূল্যবান মূর্তি চুরি করে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Chhattisgarh News: ছত্তিশগড়ের সরগুজা জেলায় অবস্থিত প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী টিএস সিংদেও-এর ঐতিহাসিক সরগুজা প্যালেসে রবিবার গভীর রাতে চুরির একটি বড় ঘটনা ঘটেছে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। চোরেরা দেওয়াল টপকে প্রাসাদ চত্বরের কোঠিঘরে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের পিতলের দুটি হাতির মূর্তি চুরি করে পালিয়ে যায়। এই মূর্তিগুলি সাজানোর জন্য রাখা ছিল। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে। ঘটনার সময় সিংদেও বিদেশ সফরে ছিলেন, তবে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
প্যালেস চত্বরে চোর
রবিবার গভীর রাতে সরগুজা প্যালেস চত্বরের কোঠিঘরে চুরির একটি বড় ঘটনা সামনে এসেছে, যা স্থানীয় প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। চোরেরা প্যালেসের দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে এবং সেখান থেকে দুটি পিতলের হাতির মূর্তি চুরি করে পালিয়ে যায়। এই মূর্তিগুলি প্রধান দরজার সামনে সাজানোর জন্য রাখা ছিল এবং এগুলোর ওজন প্রায় ১৫ কেজি বলা হয়েছে। চুরির এই পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে, যেখানে চোরদের কার্যকলাপ স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
চুরির সময় সিংদেও ছিলেন বিদেশে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চুরির ঘটনার সময় প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী টিএস সিংদেও বিদেশ সফরে ছিলেন এবং আবাসনে উপস্থিত ছিলেন না। এই কারণে চোরেরা সহজেই অপরাধ করার সুযোগ পেয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সকালে ঘটনাটি জানতে পারে, এরপর ব্রহ্মপাড়া থানা এলাকার এক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, চোর পিছনের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ঢোকে এবং পিতলের মূর্তিগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত
সরগুজার এসপি আমোলক সিং ধিলোঁ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে যাতে চোরকে সনাক্ত করা যায়। প্রযুক্তিগত প্রমাণের সাহায্যে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। প্রাসাদ চত্বরের আশেপাশে লাগানো অন্যান্য ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তিটি ভবনের গঠন সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিল, কারণ সে পিছনের দিক থেকে সঠিক রাস্তা ব্যবহার করে চুরি করেছে।