শালীন ভানোতের প্রতি ভালোবাসায় অন্ধ ছিলেন দলজিৎ কৌর!

শালীন ভানোতের প্রতি ভালোবাসায় অন্ধ ছিলেন দলজিৎ কৌর!

দলজিৎ কৌর তাঁর পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি চর্চায় থাকেন। তাঁর প্রথম বিয়ে অভিনেতা শালীন ভানোতের সঙ্গে হয়েছিল, কিন্তু এই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি এবং তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।

Dalljiet Kaur On Ex Husband: টিভি ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত অভিনেত্রী দলজিৎ কৌর আবারও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর প্রথম বিয়ে এবং প্রাক্তন স্বামী শালীন ভানোতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। দলজিৎ স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তাঁর সম্পর্কে খারাপ কিছু শোনাও সহ্য করতে পারতেন না। তাঁর এই বক্তব্য সেই সমস্ত মহিলাদের জন্য একটি আবেগপূর্ণ আয়না, যাঁরা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর নিজেকে আবার নতুন করে তৈরি করার চেষ্টা করছেন।

শুরুর প্রেম এবং প্রথম বিয়ে

দলজিৎ কৌর এবং শালীন ভানোতের দেখা হয়েছিল একটি টিভি শো-এর সেটে। একসঙ্গে কাজ করার সময় তাঁদের মধ্যে প্রেম হয় এবং ২০০৯ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। এই জুটিকে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রিয় জুটি হিসেবে মনে করা হত। কিন্তু তাঁদের বিবাহিত জীবন বেশি দিন টেকেনি। ২০১৫ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তাঁদের এই সম্পর্কে জেডন নামে একটি ছেলেও রয়েছে, যার দেখভাল এখন দলজিৎ একাই করছেন।

গলাটা ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলজিৎ জানান যে তিনি শালীনকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি বলেন, "আমি ওকে মন থেকে চেয়েছিলাম। যদি কেউ আমার স্বামীর সম্পর্কে কিছু বলত, তাহলে আমি তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিতাম। আমি বলতাম, ‘তোমার সাহস কী করে হয় আমার স্বামীর সম্পর্কে কিছু বলার।’ আমি ওর জন্য খুব বেশি রক্ষ্মণশীল ছিলাম।"

এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে দলজিৎ তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কতটা উৎসর্গীকৃত ছিলেন। তিনি আরও বলেন যে লোকেরা তাঁকে অনেক কথা বলত, কিন্তু সেই সময় তিনি কারও কথা শোনেননি কারণ তাঁর চোখে ভালোবাসার পট্টি বাঁধা ছিল।

দ্বিতীয় বিয়ে এবং বিচ্ছেদ

প্রথম সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দলজিৎ আবার জীবনকে সুযোগ দেন। তিনি কেনিয়ার ব্যবসায়ী নিখিল প্যাটেলকে বিয়ে করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। এখন অভিনেত্রী তাঁর ছেলের সঙ্গে মুম্বাইয়ে থাকছেন এবং একজন শক্তিশালী সিঙ্গল মাদার হিসেবে তাঁর জীবন কাটাচ্ছেন।

দলজিৎ সাক্ষাৎকারে এও স্পষ্ট করেছেন যে এখন তিনি কেবল তাঁর ছেলে জেডনের জন্য রক্ষ্মণশীল। তিনি বলেন, "এখন আমি শুধু জেডনের জন্য চিন্তিত থাকি। ওর ভবিষ্যৎ, ওর সুখই আমার সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।" তিনি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের সঙ্গে মজার মুহূর্ত শেয়ার করেন, যা থেকে বোঝা যায় যে তাঁদের মা-ছেলের সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী।

দলজিতের এই সাক্ষাৎকার একটি শক্তিশালী মহিলার গল্প, যিনি দুটি ব্যর্থ সম্পর্কের পরেও ভেঙে পড়েননি, বরং আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে একজন মহিলা নিজের চেষ্টাতেই একটি সুখী এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন কাটাতে পারেন। তাঁর গল্প সেই হাজার হাজার মহিলার জন্য অনুপ্রেরণা, যাঁরা জীবনে নতুন করে শুরু করতে ভয় পান।

Leave a comment