অপারেশন সিন্দুর নিয়ে সংসদে জয়শঙ্কর: ট্রাম্পের ভূমিকার দাবি খারিজ

অপারেশন সিন্দুর নিয়ে সংসদে জয়শঙ্কর: ট্রাম্পের ভূমিকার দাবি খারিজ

রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন কোনও আলোচনা হয়নি। পাকিস্তান থেকে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ডিজিএমও-র মাধ্যমে এসেছিল।

S Jaishankar: বুধবার রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর অপারেশন সিন্দুর নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বিরোধীদের কড়া ভাষায় জবাব দিলে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, ২২ এপ্রিল থেকে ১৬ জুন ২০২৪-এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কোনও ফোন কল হয়নি। তিনি অত্যন্ত কঠোর সুরে এই কথা বলেন এবং বলেন, "আমি তাঁদের বলতে চাই, তাঁরা যেন কান খুলে শোনেন..."

ট্রাম্পের দাবি নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান

ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত থামাতে তাঁর ভূমিকা ছিল। কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এই দাবি সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, ভারতের অবস্থান সব সময় স্পষ্ট যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো ধরনের আলোচনা শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক হবে এবং এতে তৃতীয় কোনো পক্ষের কোনো ভূমিকা থাকবে না।

৯ মে মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার উল্লেখ

জয়শঙ্কর জানান, ৯ মে আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি ভেন্স প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। ফোন কলে পাকিস্তানের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী এর সরাসরি এবং স্পষ্ট উত্তর দিয়েছিলেন যে পাকিস্তান যদি হামলা করে, তাহলে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে।

অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের বিবরণ

বিদেশমন্ত্রী জানান, ভারত ৭ মে অপারেশন সিন্দুর শুরু করেছিল, যার অধীনে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoJK) জঙ্গি ঘাঁটিগুলোতে নিখুঁত এবং কার্যকর অভিযান চালানো হয়েছিল। এর আওতায় পাকিস্তানের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকটি প্রধান বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিশ্বের কোনো নেতা ভারতকে থামাননি

জয়শঙ্কর আবারও বলেন যে, বিশ্বের কোনো নেতাই ভারতকে তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে বলেননি। যে দেশগুলো ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল, তাদের ভারতের পক্ষ থেকে এটাই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে পাকিস্তান যদি যুদ্ধবিরতি চায়, তাহলে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিএমও (Director General of Military Operations)-এর মাধ্যমে এই অনুরোধ করতে হবে।

বাণিজ্য ও কূটনীতির মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই

বিরোধীপক্ষের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক স্বার্থের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন। এর উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক আলোচনা সেই সময় হয়নি। ভারতের সামরিক অভিযান সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন ছিল এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাকে ध्यान में रखकर করা হয়েছিল।

রাজ্যসভায় विपक्षকে कड़ा বার্তা

এস. জয়শঙ্করের স্বর সংসদে একেবারে স্পষ্ট এবং কঠোর ছিল। তিনি বিরোধী সাংসদদের বলেন যে তাঁরা যেন তথ্য বিকৃত না করেন। তিনি বলেন, "আমি আবারও বলছি যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন কোনো ফোন কল হয়নি। তাই যারা भ्रम ছড়াচ্ছেন, তাঁরা শুনে নিন - এই বিবৃতি সম্পূর্ণরূপে তথ্যের উপর आधारित।"

Leave a comment