বিহারের दरभंगा জেলার দেকুলি গ্রামে ১২ বছর বয়সী রৌশন দাসকে খুন করা হয়েছে। দুধের পাওনা নিয়ে বিবাদ এবং পারিবারিক শত্রুতার কারণে অভিযুক্ত ইঁট-পাথর দিয়ে আঘাত করে পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দরভাঙ্গা: বিহারের दरभंगा জেলার বাহাদুরপুর থানা এলাকার দেকুলি গ্রামে ১২ বছর বয়সী রৌশন দাসের মৃতদেহ বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের মতে, এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার শর্মা ইঁট-পাথর দিয়ে আঘাত করে পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। ঘটনার পিছনে দুধের পাওনা নিয়ে বিবাদ এবং পারিবারিক শত্রুতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত রৌশন শনিবার দুধ আনতে গিয়েছিল এবং আর ফিরে আসেনি। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ময়নাতদন্ত করিয়েছে, এবং মামলার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
দুধের পাওনা নিয়ে বিবাদের ঘটনা
মৃত রৌশন দাসের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, তাদের ছেলে প্রায়ই দুধ দিতে সঞ্জয় কুমার শর্মার বাড়িতে যেত। শনিবার দুপুরে রৌশন টাকা নিতে গিয়েছিল এবং এরপর সে আর ফিরে আসেনি। পরে যখন তার খোঁজ করা হয়, তখন কোনো সূত্র মেলেনি। রবিবার একজন মহিলা গ্রামবাসীদের বাগানে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন, যার পর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, হত্যাকাণ্ডটি ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল হতে পারে। গ্রামবাসীরা বলছেন যে রৌশনের বড় ভাই এবং অভিযুক্তের স্ত্রীর মধ্যে কথিত অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে বিবাদ ও উত্তেজনা চলছিল, যার কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে হত্যাকাণ্ডটি সেই শত্রুতার জেরেই ঘটেছে।
অভিযুক্তের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ
পুলিশ মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও আরও তিনজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন যে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশ এখন তদন্ত করছে যে হত্যার ষড়যন্ত্র কখন এবং কীভাবে করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে পুরো ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তের অন্যান্য সহযোগীদেরও খুঁজে বের করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর আইনি পদক্ষেপ
মৃতদেহটি ডিএমসিএইচে (DMCH) পাঠিয়ে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং আঘাতের বিবরণ স্পষ্ট হবে। পুলিশ জানিয়েছে যে প্রতিবেদন আসার পরই খুনের ধারায় সম্পূর্ণ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘটনা দেকুলি এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশ্বাস দিয়েছেন যে অপরাধীদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে।
নিষ্পাপ শিশুর হত্যায় পরিবার ও গ্রামবাসীর শোক
মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে গভীর শোক বিরাজ করছে। মানুষজন বলছেন যে এই নিষ্পাপ শিশুর হত্যাকাণ্ড পুরো গ্রামকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন যে ভবিষ্যতে যাতে এমন সহিংসতা আর না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পরিবারের সদস্যরাও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন এবং পুলিশের কাছে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন করেছেন।