দিল্লির নরেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় পারস্পরিক বিবাদের সময় ছুরিকাঘাতে ২৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ রাজা মারা গেছেন। পুলিশ একজন নাবালককে গ্রেপ্তার করেছে, অন্যদিকে অন্যান্য পলাতক আসামিদের খোঁজ চলছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লির নরেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার বাওয়ানা জেজে কলোনিতে শনিবার রাতে পারস্পরিক বিবাদের জেরে ঘটে যাওয়া ছুরিকাঘাতের ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় মোহাম্মদ রাজা ওরফে বাদশার মৃত্যু হয়েছে এবং মোহাম্মদ আকবর গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে একজন নাবালক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্যান্য পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
ই-ব্লক বিবাদে যুবকের মৃত্যু
পুলিশের মতে, এই ঘটনাটি ২০ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় ৯টায় ঘটেছে। ঢোলক ওয়ালি মসজিদের কাছে ই-ব্লক এলাকায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক বিবাদ বেড়ে যায়। ডিসিপি হরেশ্বর স্বামী জানান যে, বিবাদটি আগে থেকেই কাজ সংক্রান্ত একটি বিতর্কের অংশ ছিল। হঠাৎ করেই মারামারি এবং ছুরিকাঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
মোহাম্মদ রাজার মাথা ও কোমরে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা কলোনির মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে এবং পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ই-ব্লক বিবাদে মৃত ও আহতের পরিচয়
পুলিশ মৃতের পরিচয় ২৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ রাজা হিসাবে নিশ্চিত করেছে। তিনি বাওয়ানার স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন এবং এলাকার সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ময়নাতদন্তের পর রবিবার দুপুরে মৃতের পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ পাওয়ার পর আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আহত যুবক মোহাম্মদ আকবরের বয়স ২৩ বছর বলে জানা গেছে। তাকে মহর্ষি বাল্মীকি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করেছে।
বিবাদের অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
পুলিশ এই ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক নাবালককে গ্রেপ্তার করেছে। ডিসিপি জানিয়েছেন যে, বাকি অভিযুক্তরা পলাতক এবং তাদের খোঁজ চলছে। পুলিশ মৃত ও আহত উভয় পক্ষের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং ঘটনায় হত্যা ও অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, গ্রেপ্তার হওয়া নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিভিন্ন দিক সামনে এসেছে। পলাতক অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারের জন্য দল গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।