দিল্লিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা: থানা থেকে পুলিশের বাইক চুরি, পরে উদ্ধার আগুনে পোড়া অবস্থায়

দিল্লিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা: থানা থেকে পুলিশের বাইক চুরি, পরে উদ্ধার আগুনে পোড়া অবস্থায়
dillee-ke-GTB-thane-se-pulis

দিল্লির জিটিবি এনক্লেভ থানা থেকে পুলিশের সরকারি বাইক চুরি হয়ে গেছে। বাইকটি পরে খজুুরি খাস থানার এলাকায় আগুনে পোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয়। পুলিশ চোরদের পরিচয় এবং গ্রেপ্তারের জন্য তদন্তে নেমেছে।

নতুন দিল্লি: রাজধানী দিল্লিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পতন উন্মোচনকারী একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। জিটিবি এনক্লেভ থানা চত্বর থেকে পুলিশের একটি সরকারি বাইক চুরি হয়ে যায়, যা পরে খজুুরি খাস থানার এলাকায় আগুনে পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনা কেবল পুলিশের জন্যই নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জিটিবি থানা থেকে সরকারি বাইক চুরি

পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, জিটিবি এনক্লেভ থানায় DLISA F2779 নম্বরের সরকারি বাইকটি রবিবার রাতে চুরি হয়ে যায়। চুরির খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ মহলে তোলপাড় পড়ে যায় এবং তড়িঘড়ি তার খোঁজ শুরু হয়। তবে, বাইকের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

বাইক চুরির ঘটনা থানা চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছে। থানা চত্বরের গেটে প্রহরী মোতায়েন থাকে, যিনি আসা-যাওয়াকারীদের উপর নজর রাখেন। এমন অবস্থায় বাইক চুরি হওয়া পুলিশের কাছেও আশ্চর্যের বিষয় ছিল।

চুরি যাওয়া বাইক আগুনে পোড়া অবস্থায় উদ্ধার

পুলিশ খজুুরি খাস থানার এলাকায় বাইকটিকে আগুনে পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করে। বাইকের পিছনের অংশ পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে গিয়েছিল, তবে সামনের রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি অক্ষত ছিল। এই নম্বরের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত বাইকটি শনাক্ত করে এবং পোড়া অবস্থায় বাজেয়াপ্ত করে।

কর্তৃপক্ষ চুরির গুরুত্ব বিবেচনা করে বেশ কয়েকটি দলকে চোরদের ধরতে অভিযানে নামিয়েছে। পুলিশ এখন সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে চুরির পুরো প্রক্রিয়া এবং চোরদের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথের তদন্ত করছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন উঠেছে

এই ঘটনা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। থানা চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রহরী এবং অন্যান্য নজরদারি থাকা সত্ত্বেও বাইক চুরি হওয়া প্রমাণ করে যে অপরাধীদের সাহস কতখানি বেড়েছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, এই চুরির ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গে করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের মতে, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত সম্পূর্ণ গোপন রাখা হচ্ছে। এই চুরির ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের মধ্যেও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ এটি তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।

Leave a comment