ইডি दिल्लीতে आम আদমি পার্টি সরকারের আমলে হওয়া তিনটি বড় দুর্নীতি—হাসপাতাল নির্মাণ, সিসিটিভি এবং আশ্রয় কেন্দ্র—তে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে।
AAP: দিল্লির রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আম আদমি পার্টি (AAP) এবং তার নেতাদের সমস্যা বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবার দিল্লি সরকারের আমলে হওয়া তিনটি আলাদা দুর্নীতি—হাসপাতাল নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা প্রকল্প এবং আশ্রয় কেন্দ্র দুর্নীতি—এর সূত্রে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে। এই মামলাগুলিতে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) এবং দুর্নীতি দমন শাখা (এসিবি) তদন্ত করছিল। এখন ইডি যুক্ত হওয়ায় পদক্ষেপের পরিধি আরও বাড়ল।
তিনটি বড় দুর্নীতি, একই পার্টি নিশানায়
ইডি তিনটি মামলাতেই ইসিআইআর (Enforcement Case Information Report) দায়ের করেছে, যা আর্থিক তছরুপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রথম আইনি প্রক্রিয়া। এতে পরিষ্কার যে এখন তদন্ত শুধু দুর্নীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এই তদন্ত সেই কালো উপার্জনের দিকে এগোবে যা এই দুর্নীতির মাধ্যমে করা হয়েছে।
হাসপাতাল নির্মাণ দুর্নীতি: জনগণের স্বাস্থ্যের সঙ্গে খেলা? (₹5,590 কোটি)

এই দুর্নীতির সম্পর্ক দিল্লি সরকার কর্তৃক ২০১৮-১৯ সালে প্রস্তাবিত ২৪টি হাসপাতালের প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। এই হাসপাতালগুলিকে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে আইসিইউ সুবিধা-সহ তৈরি করার কথা ছিল, কিন্তু তিন বছর পরেও অর্ধেকের বেশি কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
- ৮০০ কোটি টাকা খরচ করার পরেও কেবল ৫০% কাজই সম্পূর্ণ হয়েছে।
- সবচেয়ে বড় मामला এলএনজেপি হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত, যেখানে খরচ ৪৮৮ কোটি থেকে বেড়ে ১,১৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
- অনেক জায়গায় নির্মাণ কাজ বিধিবদ্ধ অনুমোদন ছাড়াই শুরু করা হয়েছে।
- ঠিকাদারদের ভূমিকা সন্দেহের তালিকায় রয়েছে।
- এইচআইএমএস (Hospital Information Management System) প্রোজেক্ট ২০১৬ সাল থেকে ঝুলে রয়েছে, যাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
- প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এবং বর্তমান মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের ভূমিকা তদন্তে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
CCTV দুর্নীতি: নজরদারির নামে দুর্নীতি? (₹571 কোটি)
২০১৯ সালে দিল্লি সরকার শহরের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ১.৪ লক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রোজেক্ট শুরু করেছিল। এই কাজের বরাত বিইএল (ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড)-কে দেওয়া হয়েছিল।
- প্রোজেক্ট সময় মতো শেষ হয়নি।
- বিইএল-এর উপর ১৭ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, যা পরে রহস্যজনকভাবে মকুব করে দেওয়া হয়।
- অভিযোগ রয়েছে যে বিইএল-এর ঠিকাদারদের মাধ্যমে সত্যেন্দ্র জৈনকে ৭ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে।
- ইডি এই পুরো লেনদেনের তদন্ত করবে এবং অর্থের উৎস সন্ধান করবে যে এই টাকা কোন মাধ্যমে এবং কোথা পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
DUSIB দুর্নীতি: জাল নথি এবং 'ভূতুড়ে কর্মী'র খেলা (₹207 কোটি+)
দিল্লি আরবান শেল্টার ইম্প্রুভমেন্ট বোর্ড (DUSIB)-এর সঙ্গে জড়িত এই মামলাও বড় দুর্নীতি হিসেবে সামনে এসেছে।
- জাল এফডিআর (Fixed Deposit Receipt)-এর মাধ্যমে ২০৭ কোটি টাকার নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।
- প্যাটেল নগর এলাকায় ১৫ লক্ষ টাকার রাস্তা মেরামতের জাল বিল তৈরি করা হয়েছে।
- লকডাউনের সময় 'ভূতুড়ে কর্মী' (যারা বাস্তবে নেই)দের নামে কোটি কোটি টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে।
- আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনায় দুর্নীতি দেখিয়ে ₹২৫০ কোটি টাকার নয়ছয়ের সন্দেহ রয়েছে।
ইডি দায়ের করল ECIR, তলব ও তল্লাশির প্রস্তুতি

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তিনটি মামলাতেই ECIR (Enforcement Case Information Report) দায়ের করেছে, যা আর্থিক তছরুপের মামলায় আইনি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। এটা এখন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে শীঘ্রই आम আদমি পার্টির অনেক বড় নেতাকে তলব করা হতে পারে। সূত্র অনুযায়ী, ইডি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং বোর্ড আধিকারিকদের থেকেও প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে। নথিপত্র যাচাই করার পর দিল্লিতে অনেক জায়গায় তল্লাশি চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
আপ-এর প্রতিক্রিয়া: 'এটা বদলার রাজনীতি'
AAP নেতারা এই মামলাগুলিকে 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' বলেছেন। দলের মুখপাত্রদের বক্তব্য যে বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সিগুলোকে অপব্যবহার করছে যাতে AAP-কে আসন্ন নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায়। যদিও এখনও পর্যন্ত পার্টি এই বিষয়ে কোনো বিস্তারিত প্রেস কনফারেন্স করেনি।
রাজনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা যে এই তদন্তগুলির ফলে দিল্লির রাজনীতিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ যেসব নীতির কথা বলে, এখন তাদেরকেই তাদের সরকারের কাজকর্মের ওপর ওঠা প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
 
                                                                        
                                                                             
                                                












