লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-কে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন যে কর্ণাটকের একটি লোকসভা আসনে ভোট চুরি হয়েছে এবং এর স্বপক্ষে তাঁর কাছে ১০০ শতাংশ ठोस প্রমাণ রয়েছে। এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করে এটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে। কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস বা তার কোনো প্রার্থী এই আসনের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে আদালতে কোনো নির্বাচনী মামলা দায়ের করেনি এবং কোনো আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি।
কমিশন বলেছে যে যদি কোনো ধরনের অভিযোগ ছিল, তাহলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর ধারা ৮০-এর অধীনে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা উচিত ছিল। এর পরিবর্তে, রাহুল গান্ধী সরাসরি নির্বাচন কমিশনের উপর অভিযোগ করে সাংবিধানিক সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
রাহুল গান্ধীর উপর সাংবিধানিক সংস্থাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীর ভাষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। কমিশন বলেছে যে লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা কেবল ভিত্তিহীন অভিযোগ করেননি, বরং একটি সাংবিধানিক সংস্থাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কমিশন এই আচরণকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করে বলেছে যে গণতন্ত্রে এই ধরনের ভাষা এবং মনোভাবের কোনো স্থান হওয়া উচিত নয়।
রাহুল গান্ধী তাঁর বিবৃতিতে বলেছিলেন যে কমিশন প্রতারণার অনুমতি দিচ্ছে এবং কংগ্রেসের কাছে এর ठोस প্রমাণ রয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, আপনারা এর থেকে বাঁচতে পারবেন না, কারণ আমরা আপনাদের পিছু ছাড়ব না। এর প্রতিক্রিয়ায় কমিশন বলেছে যে কোনো সাংবিধানিক সংস্থাকে হুমকি দেওয়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং এর জবাব তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
রাহুল গান্ধী কী বলেছেন
রাহুল গান্ধী সংসদ ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কমিশন এখন আর স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। তিনি দাবি করেন যে শুধুমাত্র একটি লোকসভা কেন্দ্রের তদন্তে কংগ্রেস এত বড় আকারের অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে, যা থেকে স্পষ্ট যে অন্যান্য আসনেও একই খেলা হয়েছে। এছাড়াও, তিনি বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (SIR) অভিযান এবং তেজस्वी যাদবের নির্বাচন বয়কটের ইঙ্গিতকেও সমর্থন করেছেন।
রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে যে তারা এর থেকে পার পেয়ে যাবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।