গাজায় তীব্র সংঘাত: হামাসের ট্যাংক ধ্বংসের দাবি

গাজায় তীব্র সংঘাত: হামাসের ট্যাংক ধ্বংসের দাবি

গাজায় সংঘাত আবার তীব্র হয়ে উঠেছে। হামাসের সামরিক শাখা ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও মাইন দিয়ে ট্যাংক ধ্বংস করার দাবি করা হয়েছে। জাবালিয়ায় সংঘাত আরও গভীর হয়েছে।

Hamas vs Isreal: গাজায় উত্তেজনা আবারও চরম আকার ধারণ করেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড ইসরায়েলি সেনার ওপর তাদের হামলা জোরদার করেছে। সংগঠনটি একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছে যে তারা বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি ট্যাংক ও সামরিক যান ধ্বংস করেছে। এই ভিডিওতে হামাসের যোদ্ধারা জাবালিয়া ক্যাম্পের কাছে ইসরায়েলি সামরিক যানগুলির ওপর কাছ থেকে হামলা করতে দেখা যাচ্ছে।

আল কাসসাম ব্রিগেড ভিডিওতে দেখিয়েছে কিভাবে তারা ইসরায়েলি ট্যাংকগুলিকে মাইন এবং ইয়াসিন ১০৫-এর মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিশানা বানিয়েছে। ভিডিওতে একটি মেরকাভা ট্যাংককে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিতেও দেখা গেছে। এই হামলাটি তখন হয় যখন ট্যাংকটি একটি সরু গলি দিয়ে যাচ্ছিল।

হামাসের ভিডিও ও দাবি

হামাস কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযান দেখানো হয়েছে। আল জাজিরার মতে, এই অপারেশনগুলির মধ্যে একটি ট্যাংকের ওপর শাওয়াজ বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে হামলা, একটি ডি৯ বুলডোজারের ওপর সরাসরি হামলা এবং একটি সাঁজোয়া গাড়ির ওপর ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মতো দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভিডিওতে একটি বাড়ির ওপর ১০৭ এমএম রকেট দিয়ে হামলা করতেও দেখা গেছে, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা লুকিয়ে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

১২ জুলাই বড় হামলা

আল কাসসাম ব্রিগেড বলেছে যে ১২ জুলাই তারা খান ইউনিসের উত্তরে একটি ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে এই হামলায় যানটির চালকদল নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়েছে। হামলার পর আহত সেনাদের উদ্ধার করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এই ঘটনা ইসরায়েলি সামরিক ব্যবস্থার নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

আল-জাইতুন মহল্লাতেও হামলা

অন্য একটি অভিযানে, হামাস গাজা শহরের আল-জাইতুন মহল্লায় একটি মেরকাভা ট্যাংককে নিশানা বানিয়েছে। হামলাটি আল-সিক্কা স্ট্রিটে হয়েছে যেখানে ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ট্যাংকটি ধ্বংস করার দাবি করা হয়েছে। আল কাসসাম ব্রিগেড বলছে যে এই হামলাগুলি ইসরায়েলি সেনার স্থল অভিযানের জবাব, যা ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে চলছে।

গাজায় কেন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে

গাজায় গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি সেনা ও হামাসের মধ্যে সংঘাত চলছে। ইজরায়েল অক্টোবর ২০২৩-এ গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল হামাসের প্রভাব খতম করা। কিন্তু এই সংঘাত এখন একটি বৃহত্তর যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে।

হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলি সেনা গাজায় সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করেছে এবং বেশ কয়েকটি এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের বক্তব্য, তারা শুধু সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু আসল পরিস্থিতি হল, এই সংঘর্ষে সাধারণ মানুষের প্রাণও যাচ্ছে।

বর্তমানে কী পরিস্থিতি

জাবালিয়া ও খান ইউনিসের মতো অঞ্চলে এখনও গুলি ও বিস্ফোরণ চলছে। গাজার সরু গলিগুলিতে ভারী সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং হামাস ক্রমাগত ছোট ছোট দলে হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাও পাল্টা আক্রমণ জোরদার করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত থামার কোনও লক্ষণ নেই।

Leave a comment