Calcutta High Court: হেস্টিং ব্রিজের নীচে প্রায় ৩০০ পরিবারকে উচ্ছেদে আপাতত রাশ টানল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দের বেঞ্চ জানিয়ে দিলেন—রাজ্য বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা না করলে এই পরিবারগুলিকে সরানো যাবে না। গত ১৯ অগস্ট পুলিশ ও কলকাতা পুরসভা উচ্ছেদের নোটিস জারি করে। এরপরই পরিবারগুলি জনস্বার্থ মামলা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়।
হাইকোর্টের স্পষ্ট বার্তা
আদালত জানিয়েছে, মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করাই সরকারের দায়িত্ব। তাই বিকল্প আশ্রয়ের ব্যবস্থা ছাড়া এই পরিবারগুলিকে সরানো যাবে না। হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত সকল পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।
দীর্ঘ ছয় দশকের বসতি
মামলাকারীদের দাবি, হেস্টিং ব্রিজের নীচে মুন্সি প্রেমচাঁদ সরণি ও সৈয়দ বাবা মাজারের কাছে এই বস্তি গড়ে ওঠে প্রায় ছ’দশক আগে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ পরিবার এখানে থাকেন। হঠাৎ উচ্ছেদের তোড়জোড়ে তারা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছিলেন।
অগস্টে শুরু হয় উচ্ছেদের নোটিস
১৯ অগস্ট হেস্টিংস থানার তরফে তিন দিনের মধ্যে জায়গা খালি করার নোটিস দেওয়া হয়। দু’দিন পর কলকাতা পুরসভাও একই সতর্কবার্তা দেয়। এরপর পুলিশ কয়েকজনকে জোর করে সরিয়ে ক্যাম্পে রাখে। এই পরিস্থিতিতেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
আইনজীবীর বক্তব্য
পরিবারগুলির তরফে আইনজীবী পূর্বায়ণ চক্রবর্তী জানান, বিকল্প থাকার জায়গা না দিয়ে এত পরিবারকে উচ্ছেদ করা অন্যায়। তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে রাজ্যে এখনও পর্যাপ্ত সেল্টার হোম নেই। আদালত এই যুক্তি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়।
কলকাতা হাইকোর্ট হেস্টিং ব্রিজের নীচে বসবাসরত তিনশোরও বেশি পরিবারকে বড় স্বস্তি দিল। আদালতের নির্দেশ, বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। ফলে রাজ্যের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় আপাতত স্থগিতাদেশ জারি হল।