ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তে সুগারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঘরোয়া টোটকায় কিছু সবজির রস বিশেষভাবে কার্যকরী। করলা, টম্যাটো, পালং শাক, শালগম এবং গাজরের রস নিয়মিত পান করলে শরীরের ব্লাড সুগার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাবিদ রিচা আগরওয়াল জানিয়েছেন, সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
করলা: সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের গোপন হাতিয়ার
করলার মধ্যে থাকা বিটার্স নামক পদার্থ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে হঠাৎ করে সুগার বৃদ্ধি পেলে নিয়মিত করলার রসপান করলে শরীরকে দ্রুত স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
টম্যাটো ও পালং শাক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনের উৎস
টম্যাটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার থাকে, যা শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সহায়ক। পালং শাকের রসও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ পদার্থ ডায়াবেটিসের লক্ষণ হ্রাসে সাহায্য করে।
শালগম ও গাজর: ইনসুলিন বৃদ্ধি ও শরীরকে ফুরফুরে রাখে
শালগমে থাকা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে শরীরকে পুনরায় শক্তিশালী করে। গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও ফাইবার শরীরে সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহজ ও কার্যকরী। নিয়মিত রসপান করলে শরীর ফুরফুরে থাকে এবং অতিরিক্ত মেদ জমা হওয়া রোধ হয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, উপরোক্ত ঘরোয়া টোটকা কখনও চিকিৎসার বিকল্প নয়। ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচিত প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি, নিয়মিত রসপান করে শরীরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
High Blood Sugar Control Tips: করলা, টম্যাটো, পালং শাক, শালগম এবং গাজরের রস নিয়মিত পান করলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর ফুরফুরে থাকে। তবে মনে রাখবেন, এগুলো কোনো ঔষধের বিকল্প নয়। ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করুন।