ভারতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কোনো ডিগ্রি বা শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই। ভারতীয় সংবিধান কেবল কিছু মৌলিক শর্ত নির্ধারণ করে, যেমন ভারতীয় নাগরিকত্ব, ন্যূনতম বয়স এবং সংসদের সদস্যপদ। এই পদটি দেশপ্রেম, নেতৃত্ব এবং জনগণের বিশ্বাস দ্বারা অর্জিত হয়, কোনো আনুষ্ঠানিক পড়াশোনার মাধ্যমে নয়।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা: ভারতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ডিগ্রি বা কোর্সের প্রয়োজন হয় না। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, প্রার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, লোকসভার জন্য ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর এবং রাজ্যসভার জন্য ৩০ বছর নির্ধারিত করা হয়েছে। এছাড়াও, তিনি কোনো সরকারি লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের আস্থা এবং সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন, যা গণতন্ত্রের আসল শক্তিকে প্রতিফলিত করে।
কে হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ব্যক্তিকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। যদি তিনি লোকসভার সদস্য হন তাহলে তাঁর ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর এবং যদি রাজ্যসভার সদস্য হন তাহলে ৩০ বছর হতে হবে।
এছাড়াও, প্রার্থীকে কোনো অফিস অফ প্রফিট অর্থাৎ সরকারি লাভজনক পদে থাকতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীকে লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্য হওয়া আবশ্যক। যদি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং তিনি সংসদের কোনো কক্ষের সদস্য না হন, তাহলে তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে যেকোনো একটি কক্ষের সদস্যপদ নিতে হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বেতন ও সুযোগ-সুবিধা
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে প্রতি মাসে প্রায় ₹১.৬৬ লক্ষ বেতন দেওয়া হয়। এই অর্থের মধ্যে দৈনিক ভাতা, নির্বাচনী এলাকা ভাতা এবং অন্যান্য অনেক সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে। বছরে প্রধানমন্ত্রীর মোট আয় প্রায় ₹১৯.২০ লক্ষ টাকায় পৌঁছায়।
এছাড়াও, তিনি দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অর্থাৎ SPG (স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ) দ্বারা সুরক্ষা পান। তাঁর সরকারি বাসভবন নয়াদিল্লির ৭, লোক কল্যাণ মার্গে অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান নামের একটি বিশেষ বিমান থাকে, যা তিনি বিদেশ ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করেন। দেশের মধ্যে ভ্রমণের সময় তাঁর জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং নিরাপত্তা গাড়ির বহর চলে।
সংবিধান দেয় সমান সুযোগ
ভারতের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে সমান সুযোগ প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কোনো উচ্চ ডিগ্রি, কোর্স বা বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। এই পদটি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল, যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে এবং তিনিই ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
দেশের অনেক প্রধানমন্ত্রী এমন ছিলেন, যাঁদের শিক্ষাগত পটভূমি ভিন্ন ভিন্ন ছিল, কিন্তু তাঁরা তাঁদের নীতি এবং নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাই, আসল যোগ্যতা ডিগ্রি নয় বরং সততা, দূরদর্শিতা এবং সেবা করার মানসিকতা।













