গাজা সংকটের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল

গাজা সংকটের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল

গাজা সংকট এবং যুদ্ধবিরতির দাবির মধ্যে পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে দুই রাষ্ট্র সমাধানই স্থায়ী শান্তির পথ।

ফিলিস্তিন: ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এখন পর্তুগাল (Portugal) -ও দুই রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থন করে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজা উপত্যকায় সহিংসতা, মানবিক সংকট এবং যুদ্ধবিরতি (ceasefire) -এর দাবি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তীব্র হয়েছে। 

জাতিসংঘে করা ঘোষণা

রবিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ (United Nations) সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রঞ্জেল এই ঘোষণা দেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া পর্তুগালের পররাষ্ট্র নীতির একটি মৌলিক এবং স্থায়ী নীতি। রঞ্জেলের মতে, পর্তুগাল বরাবরই দুই রাষ্ট্র সমাধান (two-state solution) সমর্থন করে আসছে এবং এই পথই ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির দিকে নিয়ে যাবে।

দুই রাষ্ট্র সমাধানে পর্তুগালের সমর্থন

পাওলো রঞ্জেল স্পষ্ট করেছেন যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের সমাধান শুধুমাত্র দুই রাষ্ট্র সমাধানই। তিনি মনে করেন যে যতক্ষণ না উভয় সম্প্রদায় সার্বভৌমত্ব (sovereignty) এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ (self-determination) -এর অধিকার পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়। পর্তুগালের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে সেই দেশগুলিকে শক্তিশালী করে যারা দীর্ঘকাল ধরে এই সমাধানের পক্ষে কথা বলছে।

মানবিক সংকট ও যুদ্ধবিরতির দাবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে একটি দ্রুত যুদ্ধবিরতি (immediate ceasefire) অত্যন্ত জরুরি যাতে নিরপরাধ মানুষের জীবন বাঁচানো যায় এবং মানবিক সহায়তা (humanitarian aid) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারে। তবে তিনি এও স্বীকার করেছেন যে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেই গাজায় চলমান মানবিক ট্র্যাজেডি শেষ হবে না। এর জন্য ব্যাপক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ত্রাণ কাজ এবং একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি প্রয়োজন হবে।

Leave a comment