বর্ষাকালে ভাইরাল সংক্রমণ বেড়ে যায়। বাড়িতে বিশ্রাম, পর্যাপ্ত জল, স্যুপ এবং জুস পান, হালকা খাবার খাওয়া এবং জ্বর হলে প্যারাসিটামল গ্রহণ করা সহায়ক। গুরুতর উপসর্গ যেমন একটানা ৩-৪ দিন জ্বর, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত দুর্বলতা বা বমি-ডায়রিয়া হলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
ভাইরাল সংক্রমণ: বর্ষাকালে ভাইরাল সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা এবং দুর্বলতা। বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়া, পর্যাপ্ত জল পান করা, লেবুর জল, স্যুপ এবং জুস গ্রহণ করা, হালকা খাবার খাওয়া এবং জ্বর হলে প্যারাসিটামল গ্রহণ করা উপকারী। যদি জ্বর ৩-৪ দিন ধরে থাকে, অতিরিক্ত দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, বমি বা ডায়রিয়া হয় বা ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
ভাইরাল সংক্রমণের সাধারণ উপসর্গ
ভাইরাল সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, সর্দি এবং গলা ব্যথা। এছাড়াও, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, বমি, ডায়রিয়া এবং পেটের ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে ভাইরাল হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে ব্যক্তি সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং অন্যান্য রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
বাড়িতে যত্নের উপায়
দিল্লির AIIMS-এর প্রাক্তন বাসিন্দা এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ রাকেশ বাগড়ির মতে, ভাইরাল হলে সবচেয়ে জরুরি হল রোগীর বিশ্রাম নেওয়া। পর্যাপ্ত ঘুম এবং শরীরকে ক্লান্তি থেকে বাঁচানো এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডঃ বাগড়ি বলেন যে শরীরে জলের অভাব হতে না দেওয়াও জরুরি। দিনে অন্তত সাত গ্লাস জল পান করা উচিত। এছাড়াও, লেবুর জল, স্যুপ এবং জুস পান করা উপকারী।
এই সময়ে ভারী খাবার এড়ানো উচিত। যদি জ্বর ১০০°F বা তার বেশি হয়, তবে প্যারাসিটামল গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। গলা ব্যথা এবং নাক বন্ধের জন্য গরম জলে গার্গল করা এবং ভাপ নেওয়া আরাম দিতে পারে। মাথাব্যথা বা নাক বন্ধের জন্য হালকা ম্যাসাজ বা ঠান্ডা সেঁক নিলে স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।
কখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন
সাফদারজং হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ডঃ যুগল কিশোরের মতে, যদি জ্বর একটানা ৩-৪ দিন ধরে থাকে তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এছাড়াও, শরীরে অতিরিক্ত দুর্বলতা বা তন্দ্রা অনুভব করলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা হলে, বমি বা ডায়রিয়ার সমস্যা হলে এবং শরীরে ফোলাভাব, মাথা ঘোরা বা ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভাইরাল সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ ও সচেতনতা
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে সচেতন থাকা এবং সময়মতো যত্ন নেওয়া সংক্রমণকে গুরুতর হওয়া থেকে আটকাতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার বিষয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
ভাইরাল সংক্রমণের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ বাড়িতেই সুস্থ হয়ে ওঠে। তা সত্ত্বেও, গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে সময়মতো চিকিৎসা এবং সঠিক যত্নের মাধ্যমে ভাইরাল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।