মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইতে শুক্রবার সকালে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। বান্দ্রা এলাকার ভারত নগরের চॉल নম্বর-৩৭-এ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর তিনতলা একটি বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ১২ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিলেন, যাদের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে সকলের চিকিৎসা চলছে এবং উদ্ধারকার্য পুরোদমে চলছে।
সকাল সকাল বিস্ফোরণে আতঙ্ক
ঘটনাটি সকাল প্রায় ৭:৫০ মিনিটের দিকে ঘটে, যখন চলের মধ্যে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে বিল্ডিংয়ের একটি বড় অংশ সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে এবং আশেপাশের এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের পরেই মুম্বাই ফায়ার ব্রিগেড লেভেল-২ এর সতর্কতা জারি করে এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
দমকল বিভাগের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করে। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চলছে
মুম্বাই পুলিশ, বিএমসি, দমকল বিভাগ, এমএইচএডিএ, পূর্ত বিভাগ (PWD), আদানি গ্রুপ এবং বিএমসি-র ওয়ার্ড অফিসের কর্মীরা সহ একাধিক সংস্থা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও মোতায়েন করা হয়েছে।
আধিকারিকদের মতে, উদ্ধারকাজে ২ জন অতিরিক্ত বিভাগীয় ফায়ার অফিসার (ADFO), ৫ জন সিনিয়র ফায়ার অফিসার (SrSO), ১ জন স্টেশন অফিসার (SO), ৫টি ফায়ার ইঞ্জিন, ১টি মোবাইল ওয়ার্কশপ টিম (MWT), ১টি কমান্ড ও কন্ট্রোল ইউনিট (CFF), ১টি ফোর্স টেন্ডার (FT), ১টি রেসকিউ ভেহিকেল (RV), এবং ১টি ওয়াটার কুইক রেসপন্স ভেহিকেল (WQRV)-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় लोगों की भी रही महत्वपूर्ण भूमिका
দুর্ঘটনার সময় এলাকার স্থানীয় মানুষজনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং আহতদের উদ্ধারে প্রশাসনকে সহায়তা করেছেন। অনেকে ধ্বংসস্তূপ সরাতে এবং অ্যাম্বুলেন্সকে রাস্তা করে দিতে সহযোগিতা করেছেন। প্রশাসন নিরাপত্তার খাতিরে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।
এই ঘটনা আবারও মুম্বাইয়ের জরাজীর্ণ ভবনগুলির পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই ধরনের পুরনো চॉल এবং বাড়িগুলির সময় মতো মেরামত এবং পরীক্ষা করা খুবই জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়।