প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মালদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। এই সময় তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
PM Modi Maldives Visit: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে আয়োজিত ৬০তম স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এই উপলক্ষ ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ককে পুনরায় জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মালদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু স্বয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে মালদ্বীপের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে भव्य গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় সম্মানের প্রতীক।
ভারতীয় সম্প্রদায়ের 'বন্দে মাতরম' ধ্বনি
প্রধানমন্ত্রী মোদী মালদ্বীপে পৌঁছালে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষজন তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে 'বন্দে মাতরম' ধ্বনি শোনা যায়। এই অভ্যর্থনা দেখে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে ভারতীয়দের ধন্যবাদ জানান।
তিনি X (পূর্বে টুইটার) এ পোস্ট করে বলেন যে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লেখেন যে এই সফরে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং তিনি এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন মোড়
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সফর শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এটিকে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে বাড়তে থাকা দূরত্ব কমানোর একটি প্রয়াস হিসেবেও মনে করা হচ্ছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী জানান যে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর কার্যকালে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের এটিই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। নভেম্বর ২০২৩-এ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মুইজ্জুর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কিছু ক্ষেত্রে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, যা এখন প্রশমিত করার চেষ্টা চলছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরে ভারতের সহায়তায় সম্পন্ন হওয়া একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জল পরিবহন সম্পর্কিত পরিকল্পনা। এই প্রকল্পগুলি শুধু মালদ্বীপের জনগণের জীবনযাত্রাকে উন্নত করবে না, পাশাপাশি ভারতের 'Neighbourhood First' নীতির অধীনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করবে। ভারত দীর্ঘকাল ধরে মালদ্বীপের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার। জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা হোক বা জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সাহায্য, ভারত সবসময় এই দ্বীপরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।