গাজিপুরে মাফিয়া মুখতার আনসারীর নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, পুলিশ বৃহস্পতিবার তার পলাতক স্ত্রী আফশা আনসারীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রবীন্দ্র নারায়ণ সিং-এর জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। রবীন্দ্র সিং গাজিপুর কোতোয়ালি থানা এলাকার ডোমনপুরা বালাপুরের বাসিন্দা এবং তাকে আফশা আনসারীর অর্থনৈতিক সহযোগী হিসেবে মনে করা হয়। এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে যথাযথ ঘোষণা করা হয় এবং এরপর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কর্মকর্তাদের মতে, রবীন্দ্র নারায়ণ সিং সংগঠিত অপরাধ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই জমি কিনেছিলেন। তিনি আফশা আনসারীর সাথে বিকাশ কনস্ট্রাকশন নামক একটি ফার্মে অংশীদার ছিলেন। এই ফার্মের মাধ্যমে পরবর্তীতে আগাজ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্ট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি তৈরি করা হয়, যার ডিরেক্টর এবং চেয়ারপার্সন স্বয়ং আফশা আনসারী। তদন্তে জানা গেছে যে এই কোম্পানির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার অবৈধ অর্থ লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
গ্যাংস্টার আইনের মামলা
গাজিপুর কোতোয়ালিতে আফশা আনসারীর বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তার উপর ₹50,000 টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন। আফশা, আইএস-১৯১ গ্যাং-এর প্রাক্তন প্রধান এবং প্রভাবশালী নেতা মুখতার আনসারীর স্ত্রী। এখন পুলিশ তার পুরো অর্থনৈতিক কাঠামো এবং নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করছে।
কর্মকর্তারা বলছেন যে রবীন্দ্র নারায়ণ সিং গ্যাং-এর জন্য অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন। সেই জন্যই এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপ মুখতার আনসারী গ্যাং-এর অর্থনৈতিক কাঠামো ভাঙতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
রবীন্দ্র নারায়ণ সিং-এর বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনেক মামলা রয়েছে
তদন্তে এও জানা গেছে যে রবীন্দ্র নারায়ণ সিং-এর বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনেক ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। গাজিপুর জেলার নন্দগঞ্জ, কোতোয়ালি এবং मोहम्मदाबाद থানায় তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা চলছে। এই মামলাগুলোতে জালিয়াতি, आपराधिक ষড়যন্ত্র এবং অবৈধ সম্পত্তির সাথে সম্পর্কিত অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে যে এই পদক্ষেপ মাফিয়া নেটওয়ার্কের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে পলাতক অভিযুক্ত এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ এখন আফশা আনসারীকে গ্রেফতার এবং তার পুরো নেটওয়ার্কের মূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।