রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে পুতিন এ বছর ভারত সফরে আসবেন। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা তাদের জাতীয় স্বার্থ থেকে পিছু হটবে না।
Putin India Visit: রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এ বছরের শেষ নাগাদ ভারত সফরে আসতে পারেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন। পুতিনের এই প্রস্তাবিত সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা চরমে। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর ক্ষুব্ধ।
ট্রাম্পের সতর্কতা: রাশিয়া থেকে তেল কিনবেন না ভারত
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেছেন যে, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা উচিত নয়। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করছে। ট্রাম্পের এই বিবৃতি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ভারতের স্পষ্ট নীতি: জাতীয় স্বার্থই সর্বাগ্রে
ট্রাম্পের অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা তাদের জ্বালানি চাহিদা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয় এবং জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। ভারত জানিয়েছে, তারা তাদের জ্বালানি সুরক্ষার জন্য সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তেল কিনতে থাকবে।
পুতিনের সফর নিয়ে অজিত ডোভালের নিশ্চিতকরণ
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল নিশ্চিত করেছেন যে, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি সফরের তারিখ জানাননি, তবে এটা স্পষ্ট যে এই সফর ২০২৫ সালের শেষের দিকে হতে পারে।
আমেরিকার ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক
ট্রাম্প বুধবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ভারত থেকে আমদানির উপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। রাশিয়া থেকে ভারত কর্তৃক তেল কেনা অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব দুটি দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর পড়তে পারে।
আমেরিকার নতুন নীতি: রাশিয়ার ক্রেতাদের উপর চাপ
আমেরিকা এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে তার তেল ক্রেতাদের উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এর সরাসরি প্রভাব ভারত-এর মতো দেশগুলোর উপর পড়তে পারে যারা রাশিয়ার থেকে সস্তা দরে তেল কিনছে।
ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরনো এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। রাশিয়া কেবল ভারতের প্রতিরক্ষা চাহিদাতেই সহযোগিতা করেনি, সেই সঙ্গে শক্তি, বিজ্ঞান, মহাকাশ এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দুটি দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী। পুতিনের প্রস্তাবিত সফর এই সম্পর্ককে আরও গভীর করার সুযোগ হতে পারে।