পুত্রদা একাদশী ২০২৫: তারিখ, তাৎপর্য এবং ব্রতের নিয়মাবলী

পুত্রদা একাদশী ২০২৫: তারিখ, তাৎপর্য এবং ব্রতের নিয়মাবলী
সর্বশেষ আপডেট: 1 দিন আগে

হিন্দু ধর্মে একাদশী ব্রত অত্যন্ত পবিত্র ও পুণ্যদায়ক বলে বিবেচিত হয়। প্রতি মাসের শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে উপবাস রাখা হয়। সব মিলিয়ে বছরে ২৪টি একাদশী আসে, কিন্তু এদের মধ্যে কয়েকটি একাদশী বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পুত্রদা একাদশী এমনই একটি বিশেষ একাদশী। এই একাদশী সেই দম্পতিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যারা সন্তান লাভের কামনা করেন।

বছরে দুবার আসে পুত্রদা একাদশী

পুত্রদা একাদশী বছরে দুবার আসে। প্রথমটি শ্রাবণ মাসে এবং দ্বিতীয়টি পৌষ মাসে। এই দুটি ব্রতই পুত্র লাভের জন্য রাখা হয়। শ্রাবণের পুত্রদা একাদশী পবিত্রোপা বা পবিত্রা একাদশী নামেও পরিচিত, যেখানে পৌষের পুত্রদা একাদশীর মাহাত্ম্য বিশেষভাবে ভগবান বিষ্ণুর পূজার সঙ্গে যুক্ত।

কবে শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী

২০২৫ সালে শ্রাবণ মাসের পুত্রদা একাদশী ৫ই আগস্ট তারিখে পড়েছে। এটি মঙ্গলবার হবে। এই দিনে ভক্তরা উপবাস রেখে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি ভগবান শিবেরও আরাধনা করেন। শ্রাবণ মাস এমনিতেও ভগবান শিবের পূজার জন্য বিশেষ বলে বিবেচিত হয়, তাই এই একাদশীর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।

কবে পৌষ পুত্রদা একাদশী

অন্যদিকে, পৌষ মাসের পুত্রদা একাদশী ২০২৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে পড়বে। এটিও মঙ্গলবার হবে। পৌষ পুত্রদা একাদশীর ব্রত বিশেষভাবে ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গিত। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ পূজা-অর্চনা করা হয়। উপবাস রাখা ভক্তরা সারা রাত জেগে হরিনাম সংকীর্তন করেন এবং প্রভুর কাছে সন্তান সুখের কামনা করেন।

কাদের জন্য এই ব্রত বিশেষ

পুত্রদা একাদশীর ব্রত বিশেষভাবে সেই বিবাহিত দম্পতিরা রাখেন, যারা সন্তান লাভের কামনা রাখেন। বিশ্বাস করা হয় যে, শ্রদ্ধা ও নিয়ম মেনে এই ব্রত করলে সন্তান সম্পর্কিত সমস্যা দূর হয় এবং সন্তান সুখের প্রাপ্তি হয়। অনেক পুরাণ ও ধর্মগ্রন্থে এই ব্রতের উল্লেখ পাওয়া যায়, যেখানে এর মহিমা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত আছে।

পৌরাণিক कथा থেকে জড়িত মাহাত্ম্য

পুত্রদা একাদশী থেকে জড়িত একটি পৌরাণিক কাহিনীও বেশ প্রসিদ্ধ। কাহিনী অনুসারে, একদা ভদ্রাবতী নামক নগরীতে সুকেতু নামে এক রাজা রাজত্ব করতেন। তাঁর স্ত্রী শৈব্যা খুব ধর্মপরায়ণ ছিলেন, কিন্তু তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। সন্তান লাভের জন্য তাঁরা মহর্ষি লোমেশের পরামর্শ নেন এবং তাঁর পরামর্শে পুত্রদা একাদশীর ব্রত রাখেন। ব্রতের প্রভাবে তাঁরা যোগ্য ও তেজস্বী সন্তান লাভ করেন। সেই থেকে এই বিশ্বাস প্রচলিত হয়েছে যে, এই একাদশীর ব্রত করলে সন্তান লাভ হয়।

কীভাবে করা হয় ব্রত

এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান ইত্যাদি করে ব্রতের সংকল্প নেওয়া হয়। ভগবান বিষ্ণুর সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁকে ফুল, তুলসী দল, হলুদ বস্ত্র, পঞ্চামৃত ইত্যাদি অর্পণ করা হয়। সারাদিন উপবাস রাখা হয় এবং সন্ধ্যায় আরতির পর প্রসাদ বিতরণ করা হয়। কিছু लोग এই দিনে নির্জলা व्रतও রাখেন, আবার কেউ কেউ ফলহার করেন। রাত্রিতে জাগরণ ও भजन-কীর্তন এরও আয়োজন করা হয়।

तुलसी का होता है विशेष স্থান

পুত্রদা একাদশীর দিনে তুলসীরও বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর কাছে তুলসী অত্যন্ত প্রিয় এবং যেকোনো পূজায় তুলসী पत्र অর্পণ করা अनिवार्य বলে মানা হয়। ऐसा माना जाता है कि बिना तुलसी के भगवान विष्णु पूजा स्वीकार नहीं करते। তাই এই দিনে তুলসী গাছের পূজাও করা হয়।

धार्मिक स्थलों पर होती है विशेष पूजा

পুত্রদা একাদশীর দিনে দেশের বিভিন্ন বিষ্ণু মন্দিরে বিশেষ পূজা ও আয়োজন হয়। বৈষ্ণব পরম্পরাকে মান্য করা ভক্তরা এই দিনে খুব श्रद्धा র সঙ্গে উপবাস রাখেন। কিছু স্থানে ভাণ্ডারা ও कथा র আয়োজনও হয়। হরিদ্বার, বৃন্দাবন, দ্বারকা-র মতো পবিত্র স্থানে এই দিনে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।

Leave a comment