Vitamin B12 Deficiency: শরীরে যদি ঘন ঘন ব্যথা, দুর্বলতা, বা মন খারাপের মতো সমস্যা দেখা দেয়, তবে তা ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। কলকাতার অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি-১২ কমে গেলে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। তাই তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট ফল রাখলে খুব সহজেই মেটানো সম্ভব এই ঘাটতি।

মস্তিষ্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন বি-১২ মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর অভাবে মনোসংযোগে সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও অকারণে মন খারাপের প্রবণতা বাড়ে। তাই বয়স যাই হোক, বি-১২-এর সঠিক মাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন।

ঘাটতি বাড়ালে রক্তাল্পতা ও দুর্বলতা
শরীরে বি-১২-এর ঘাটতি হলে রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে বাধা পড়ে, যা রক্তাল্পতা সৃষ্টি করে। ফলস্বরূপ ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, হাত-পায়ে অসাড়তা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার না থাকলে শরীর ধীরে ধীরে শক্তিহীন হয়ে পড়ে।

এই চার ফলে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন বি-১২
চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকারের মতে, প্রতিদিন যদি ডায়েটে আম, আপেল, কলা ও কিউই রাখা যায়, তবে শরীরে বি-১২ ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়।
আম: গ্রীষ্মকালীন এই ফলে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ ও বি-১২।
আপেল: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তে বি-১২-এর ঘাটতি কমায়।
কলা: শক্তি জোগায় ও স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
কিউই: ভিটামিন সি ও বি-১২ একসঙ্গে পাওয়া যায়, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সহজ সংযোজন
এই চারটি ফল নিয়মিত খেলে কেবল ভিটামিন বি-১২ নয়, শরীরের অন্যান্য পুষ্টিগুণও পাওয়া যায়। এগুলি হজমে সহায়ক, ত্বকের যত্নে কার্যকর এবং শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই ঋতুভেদে সহজলভ্য এই ফলগুলি প্রতিদিনের খাবারে যুক্ত করাই শ্রেয়।

শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতা, অবসাদ, ও মানসিক ক্লান্তি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন ডায়েটে কিছু সাধারণ ফল রাখলেই সহজে পূরণ করা যায় এই ঘাটতি। জানুন কোন চারটি ফলে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যরহস্য।













