ফ্রান্সে জেলেনস্কি: দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তার আশ্বাস

ফ্রান্সে জেলেনস্কি: দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তার আশ্বাস

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ফ্রান্স পৌঁছেছেন। তিনি দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee) এবং ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (defense forces) সমর্থন জোরদার করার বিষয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (Emmanuel Macron)-এর সাথে আলোচনা করেছেন।

বিশ্ব সংবাদ: ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের মাঝে ফ্রান্স পৌঁছেছেন। এই সফর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেনের সমর্থন এবং দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জেলেনস্কি এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (Emmanuel Macron)-এর মধ্যে বৈঠকে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা (defense) এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee) করছেন এবং ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (Ukrainian defense forces) ধারাবাহিকভাবে সমর্থন (support) দেবেন। তিনি এই প্রক্রিয়ায় অবদান ও সমর্থন দেওয়া সমস্ত দেশ এবং সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশগুলির সমর্থন

ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আগেও ফ্রান্স সফর করেছেন এবং এবারও তাঁর লক্ষ্য নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তা (support) জোরদার করা। (Emmanuel Macron) স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেন ফ্রান্সের উপর আস্থা রাখতে পারে এবং ফ্রান্স যেকোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ইউক্রেনের পাশে থাকবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা (efforts) করে চলেছে। ইউরোপীয় নেতারাও বলেছেন যে যদি যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর রাশিয়া পুনরায় আগ্রাসন (aggression) চালায়, তবে তাকে সামরিক ও কূটনৈতিক (diplomatic) উপায়ে প্রতিরোধ করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পরিকল্পনা

জেলেনস্কি এবং (Macron)-এর বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee)। ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের নেতারা বলেছেন যে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমেরিকার অংশগ্রহণ জরুরি হবে। এর উদ্দেশ্য হল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও যাতে রাশিয়া কোনো ধরনের আগ্রাসন (aggression) দেখাতে না পারে। জেলেনস্কি বলেছেন যে ইউক্রেন তার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব (sovereignty) রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো চুক্তিতে রাশিয়ার প্ররোচনার শিকার হবে না।

জেলেনস্কির বড় মন্তব্য

সম্প্রতি জেলেনস্কি বলেছেন যে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি (ceasefire) র জন্য বেশি আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউক্রেন এবং আমেরিকার (Moscow) দাবির উপর তাৎক্ষণিক আস্থা রাখা উচিত নয়। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেনের অগ্রাধিকার হল স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য শান্তি (reliable peace) অর্জন করা এবং রাশিয়াকেই সেই যুদ্ধ শেষ করতে হবে যা সে শুরু করেছে। জেলেনস্কি আরও বলেছেন যে ইউক্রেনকে দেওয়া প্রতিটি সহায়তা দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ (security challenges) মোকাবিলা করা যায়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত কয়েক মাস ধরে চলছে। এই সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত (displaced) হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা (tension) বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলি ক্রমাগত ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা (military and economic support) দিয়েছে যাতে ইউক্রেন তার সীমান্ত (borders) এবং নাগরিকদের (civilians) সুরক্ষা করতে পারে। ফ্রান্স সফরের উদ্দেশ্য হল ইউরোপীয় দেশ এবং আমেরিকার সাথে একসাথে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee) জোরদার করা এবং ইউক্রেনের জন্য স্থায়ী শান্তি (peace) নিশ্চিত করা।

Leave a comment