হিমাচল প্রদেশের কুল্লু জেলায় আবারও খারাপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। সোমবার গভীর রাতে লাগঘাটির সামানাতে মেঘ ফাটার (Cloudburst in Kullu) ঘটনায় এলাকায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। আকস্মিক এই দুর্যোগে তিনটি দোকান ও একটি বাইক ভেসে গেছে, এবং অনেক খেত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Kullu Cloudburst: হিমাচল প্রদেশের কুল্লু জেলায় গত রাতে ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লাগঘাটির সামানা এলাকায় মেঘ ফাটার ঘটনায় তিনটি দোকান ও একটি বাইক বন্যার জলে ভেসে গেছে। এই দুর্যোগে আশেপাশের খেতগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে স্থানীয় কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে জেলা প্রশাসন ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ব্যস্ত রয়েছে।
অন্যদিকে, মেঘ ফাটার কারণে আসা বন্যার জলে সরবরি নালা ফুলে উঠেছে। এর ফলে ভূতনাথ মন্দিরের কাছে বাস স্ট্যান্ডের সংযোগকারী রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানে সুরক্ষা দেওয়ালও (ডাঙ্গা) নদীতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
গত রাতে প্রায় দুটো নাগাদ হঠাৎ করে মেঘ ফাটার কারণে সামানা এলাকায় নালার জল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তীব্র আওয়াজ ও জলের তোড়ের ভয়ে গ্রামবাসীরা তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ভারী বৃষ্টি ও কাদামাটির স্তূপের কারণে মানুষের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটের ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে কাদামাটি অনেক বাড়িতে ঢুকে গেছে, এবং খেতের ফসল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। মেঘ ফাটার পরে সরবরি নালা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এর ফলে ভূতনাথ মন্দিরের কাছে বাস স্ট্যান্ডের সংযোগকারী রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানে রাস্তার পাশে তৈরি হওয়া দেওয়াল (রিটেইনিং ওয়াল) নদীতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
একইভাবে, হনুমান বাগকে সংযোগকারী হাঁটাপথের সেতুটিও জলের তোড়ে ভেসে গেছে এবং ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সরবরি এলাকার আরও একটি হাঁটাপথের সেতু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশাসন সতর্ক, মানুষদের নিরাপদে সরানো হয়েছে
লাগঘাটি ও সরবরি এলাকায় পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখেই জেলা প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। কুল্লুর ডেপুটি কমিশনার তোরুল এস. রবীশ জানিয়েছেন যে প্রশাসন নদী-নালার ধারে বসবাস করা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দিয়েছে। বিশেষভাবে, ঝুপড়িতে বসবাস করা পরিবারগুলোকে দ্রুত সরিয়ে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে এবং ত্রাণকার্য দ্রুতগতিতে চালানো হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার কুল্লু জেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বাস পরিষেবাও অনেক এলাকায় ব্যাহত হয়েছে এবং কিছু রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ডেপুটি কমিশনার স্থানীয় মানুষদের নদী-নালা থেকে দূরে থাকার এবং অপ্রয়োজনীয় যাত্রা এড়িয়ে চলার আবেদন জানিয়েছেন।