গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নাগরিকদের পরিস্থিতি গুরুতর। আমেরিকা সতর্ক করেছে যে সমঝোতার জন্য সময় কম। হামাসের প্রতিরোধ অব্যাহত, জিম্মিদের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়।
বিশ্ব সংবাদ: গাজা শহরের পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সোমবার-রবিবার রাতেও ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। নাগরিক জীবন সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয়েছে এবং শহরের বেশিরভাগ এলাকা মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞের সম্মুখীন হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াব গ্যালান্ট বলেছেন যে গাজা এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। নাগরিক এবং শিশুদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
আমেরিকার সতর্কতা
আমেরিকা গাজার অবনতিশীল পরিস্থিতির উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে ‘ইসরায়েল তার অভিযান শুরু করেছে। আমাদের কাছে এখন সমঝোতার জন্য খুব কম সময় আছে। সম্ভবত মাত্র কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ বাকি আছে।’ তিনি বলেন যে যদি অবিলম্বে আলোচনা না হয়, তাহলে মানবিক সংকট আরও গভীর হবে।
গাজা শহর: হামাসের শেষ আশ্রয়স্থল
ইসরায়েলের মতে, গাজা শহর এখন হামাসের শেষ অবশিষ্ট ঘাঁটি। তাই সেনাবাহিনী নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েল নতুন হামলার পরিকল্পনা করছে যাতে শহরের হামাসের ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণরূপে লক্ষ্যবস্তু করা যায়। এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান এবং নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে।
সংঘাতের শুরু
এই যুদ্ধ ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হয়েছিল। সেই দিন হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়, যেখানে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের সামরিক অভিযান শুরু করে। এই সংঘাত দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সহিংসতা ক্রমাগত বাড়িয়েছে।
জিম্মিদের পরিস্থিতি
হামাস কিছু জিম্মিকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে মুক্তি দিয়েছে, কিন্তু অনেক জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। গাজায় এখনও প্রায় ৪৮ জন জিম্মি আছে, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
নাগরিকদের উপর ব্যাপক প্রভাব
গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণের কারণে নাগরিক জীবন সম্পূর্ণরূপে প্রভাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং চিকিৎসা সুবিধা চাপের মুখে। জল, খাদ্য এবং বিদ্যুতের মতো মৌলিক সুবিধার অভাবে মানুষের পরিস্থিতি আরও গুরুতর হচ্ছে।