অবৈধ ধর্মান্তরকরণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরের উপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র নজরদারি ক্রমশ বাড়ছে। পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে চলা জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মঙ্গলবার ইডি আধিকারিকরা যখন ছাঙ্গুরকে বিদেশি তহবিল, সম্পত্তি এবং দুবাই ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি অস্পষ্ট উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন বা চুপ থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তিনি বারবার তাঁর সহযোগী নিতু ওরফে নাসরিনের নাম নেন এবং সমস্ত দায় তাঁর উপর চাপিয়ে দেন।
সম্পত্তি এবং তহবিল সংক্রান্ত প্রশ্নে ছাঙ্গুরের নীরবতা
সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা যখন ছাঙ্গুরের সামনে তাঁর সম্পত্তির নথি রাখেন, তখন তিনি বলেন যে তিনি এই সব বিষয়ে কিছুই জানেন না। ছাঙ্গুর দাবি করেন যে নিতুই পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন। বিদেশি তহবিল এবং হাওয়ালা লেনদেন সংক্রান্ত প্রশ্নেও তিনি একই কথা বলেন যে, টাকা সরাসরি নিতুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসত এবং তিনি তহবিলের উৎস সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ইডি এখন এই দাবির সত্যতা যাচাই করার জন্য নিতুর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে।
দুবাই ভ্রমণ নিয়ে আত্মীয়দের উল্লেখ
যখন ইডি দুবাই ভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন করে এবং পাসপোর্টে ১৯টি ভ্রমণের তথ্য দেখায়, তখন ছাঙ্গুর সাফাই দিয়ে আত্মীয়দের নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে তিনি সামাজিক কাজ এবং আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দুবাই গিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তিনি আদালত কর্মী রাজেশ উপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে জানান যে তিনি দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য সংস্থা চালান এবং এর জন্য অনেকের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পান। যদিও, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ছাঙ্গুর বারবার বলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা করা হয়েছে।
নিতুর বাড়ল সমস্যা
পুরো মামলায় বারবার নিতুর নাম আসার পরে ইডি এখন তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে। মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে তহবিলের উৎস জানতে সংস্থা আগামী দিনে নিতু ওরফে নাসরিনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ইডির মূল নজর এখন এই দিকে যে বিদেশি টাকা কোথা থেকে এসেছে, কে পাঠিয়েছে এবং কী উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই মামলা এখন কেবল ছাঙ্গুরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো নেটওয়ার্কের তদন্তের দিকে এগোচ্ছে। সংস্থার পরবর্তী পদক্ষেপে আরও অনেক তথ্য প্রকাশ হতে পারে।