উত্তর প্রদেশে আলিগড় এবং বুলন্দশহরের কিছু অংশকে একত্রিত করে একটি নতুন জেলা ‘কল্যাণ সিং নগর’ গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অতরৌলিকে সদর দফতর করা হতে পারে। রাজস্ব পরিষদ সীমানা এবং তহসিলগুলির উপর একটি প্রতিবেদন চেয়েছে।
ইউপি নিউজ: উত্তর প্রদেশে একটি নতুন জেলা গঠনের পরিকল্পনা চলছে। আলিগড় এবং বুলন্দশহরের কিছু অংশকে একত্রিত করে এর নাম ‘কল্যাণ সিং নগর’ রাখা হতে পারে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কল্যাণ সিং-এর অবদান এবং তাঁর জন্মস্থান অতরৌলির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রস্তাবে রাজনৈতিক উদ্যোগ
এই নতুন জেলা গঠনের দাবি প্রথম তুলেছিলেন এটার প্রাক্তন সাংসদ এবং কল্যাণ সিং-এর পুত্র রাজবীর সিং ‘রাজু ভাইয়া’। তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে অতরৌলি এবং ডিবাঈ এলাকার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল যে, কল্যাণ সিং রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, কিন্তু তাঁর জন্মভূমি এবং কর্মভূমি প্রত্যাশিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এই প্রস্তাবটির প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে।
রাজস্ব পরিষদ উভয় জেলার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে

রাজস্ব পরিষদের কমিশনার ও সচিবের কার্যালয় আলিগড় এবং বুলন্দশহর জেলার ডিএমদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং নতুন জেলা গঠনের সম্ভাবনার ওপর একটি প্রতিবেদন চেয়েছে। এই প্রতিবেদনে তহসিলগুলির বিবরণ এবং ভৌগোলিক উপযুক্ততা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর ভিত্তিতে প্রশাসনিকভাবে নতুন জেলাটি স্থাপন করা হবে।
অতরৌলিকে জেলা সদর দফতর করার বিষয়ে বিবেচনা
নতুন জেলার সদর দফতর অতরৌলিতে হতে পারে। অতরৌলি কল্যাণ সিং-এর জন্মস্থান এবং রাজনৈতিক কর্মভূমি ছিল। অতরৌলি এবং মঢৌলি গ্রাম এই নতুন জেলার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে নির্বাচিত হতে পারে। এটি ভৌগোলিকভাবে আলিগড় এবং বুলন্দশহরের মধ্যে উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
কল্যাণ সিং-এর অবদানের প্রতি সম্মান
প্রয়াত কল্যাণ সিং উত্তর প্রদেশের দু'বারের মুখ্যমন্ত্রী, হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানের রাজ্যপাল এবং দু'বারের সাংসদ ছিলেন। তিনি রাজনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং রামমন্দির আন্দোলনের সময় রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন। তাঁর অবদান এবং জনগণের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তাকে এই নতুন জেলা গঠনের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।













