আজ সংসদে পহেলগাম হামলা ও অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বিতর্ক হবে। অমিত শাহ, রাজনাথ সিং ও রাহুল গান্ধী আলোচনায় অংশ নেবেন। মায়াবতী দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লি। সংসদের বাদল অধিবেশনে সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে হওয়া জঙ্গি হামলা এবং তার জবাবে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বিশেষ আলোচনা হবে। ২২ এপ্রিলের এই হামলায় ২৬ জন নাগরিকের প্রাণ গিয়েছিল, যার পরে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ নেয়। এই অপারেশনকে কেন্দ্র সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি নির্ণায়ক পদক্ষেপ বলেছে।
সরকারের বড় মন্ত্রীরা তাঁদের বক্তব্য রাখবেন
সূত্রের খবর, লোকসভায় এই আলোচনা চলাকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাঁদের বক্তব্য রাখতে পারেন। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং আলোচনায় হস্তক্ষেপ করে সরকারের জাতীয় সুরক্ষা নীতি স্পষ্ট করবেন।
বিপক্ষও প্রস্তুত, রাহুল গান্ধী সরকারের ওপর আক্রমণ করতে পারেন
বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আলোচনায় অংশ নিতে পারেন। জানা গেছে, বিরোধীরা মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা সংক্রান্ত পুরনো দাবি এবং ভারতের কূটনৈতিক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। বিরোধীরা এই ইস্যুকে সরকারের জবাবদিহিতার সঙ্গে যুক্ত করে সংসদে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
মায়াবতীর স্পষ্ট কথা
বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী সংসদে হতে চলা এই বিতর্ক থেকে আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেছেন যে, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আলোচনা হওয়া উচিত। তিনি বলেন যে দেশের মানুষ এমন নীতি চায় যেখানে কোনও মাকে তাঁর ছেলে এবং কোনও মহিলাকে তাঁর সিঁদুর হারাতে না হয়। তাঁর এই বক্তব্যকে সংসদে ইতিবাচক আলোচনার আবেদন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী দিয়েছে স্পষ্ট বার্তা, জঙ্গি ঘাঁটিগুলি হয়েছে নিশানা
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে ভারতীয় সেনা জঙ্গিদের সম্ভাব্য ঘাঁটিগুলোকে নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করে আঘাত হানে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমিত সময়ের মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল এই বার্তা দেওয়া যে ভারত জঙ্গি হামলা সহ্য করবে না। এর পর জম্মু ও কাশ্মীর এবং সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।