গর্ভাবস্থায় ল্যাপটপ ব্যবহারের ঝুঁকি:দীর্ঘ সময় কোলে ল্যাপটপ ব্যবহার করা শরীরের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। চোখ, ঘাড়, পিঠ ও কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে। তবে এই সমস্যা কি গর্ভস্থ ভ্রূণ পর্যন্ত পৌঁছায়? চিকিৎসকরা বলছেন, হ্যাঁ, সম্ভাবনা আছে।
ডাঃ দিব্যা শারোনা, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, বলেন, “ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং স্মার্টওয়াচ—এসব ডিভাইজ থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড নির্গত হয়। দীর্ঘ সময় এই ডিভাইজ কোলে রাখলে ভ্রূণের উপর প্রভাব পড়তে পারে।”
গরম ল্যাপটপের প্রভাব
ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এটি গরম হয়। কোলে রাখলে তাপ পেটের দিকে পৌঁছাতে পারে। এর ফলে গর্ভের শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে, পেশি ব্যথা, মেরুদণ্ডে সমস্যা এবং চোখের সমস্যা বাড়তে পারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ: ক্ষতি এড়ানোর উপায়
১) ১০-১০ রুল মেনে চলুন: প্রতি ১০ মিনিট অন্তর কাজ থেকে বিরতি নিন। কোলে ল্যাপটপ সরিয়ে রাখুন।
২) ডিভাইজ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন: ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড নির্গত এমন ওয়্যারলেস ডিভাইজ থেকে দূরত্ব রাখুন।
৩) কুলিং প্যাড ব্যবহার করুন: ল্যাপটপের তাপ সরাসরি পেট বা উরুতে পৌঁছতে না দেওয়ার জন্য কুলিং প্যাড ব্যবহার করা জরুরি।
৪) পেট থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন: ল্যাপটপ অন্তত ২০ ইঞ্চি দূরে রাখুন। বিছানায় বসে কাজ করলে ডেস্ক ব্যবহার করুন।
৫) স্ট্রেচ ও হালকা ব্যায়াম: প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর হালকা স্ট্রেচ বা হাঁটাচলা করুন।
গর্ভাবস্থায় বাড়ি থেকে কাজ করার সময় কোলে ল্যাপটপ রাখা সুবিধাজনক হলেও এটি ভ্রূণের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, বিরতি নিন, ডিভাইজ থেকে দূরত্ব রাখুন এবং কুলিং প্যাড ব্যবহার করুন। এতে মা ও শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।