স্বাস্থ্য পরামর্শ: সামনেই দুর্গাপুজো। এই সময়ে মিষ্টি খাওয়া প্রায় সবার রুটিনের অংশ। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ সুধীর কুমার জানাচ্ছেন, দুটো গোলাপ জাম খাওয়ার পরে অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটা স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। পুজোর আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব, তবে মিষ্টির ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ তিনি দেন।
পুজোতে মিষ্টি খাওয়া: স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য
পুজোর সময় বাড়ি, বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়িতে মিষ্টি খাওয়া স্বাভাবিক। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই পুরোপুরি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন—মিষ্টি খাওয়া যাবে, তবে পরবর্তীতে কিছুটা ব্যায়াম জরুরি।দুটো গোলাপ জামের ক্যালোরি প্রায় ৩০০–৪০০ ক্যালোরি। হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে তা সহজেই পুড়ানো সম্ভব। ছোট থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে হবে।
হাঁটার সময় ও পদ্ধতি
জিম বা ট্রেডমিলে যাওয়া কঠিন মনে হলে প্রাতঃভ্রমণ বা বাইরে তাজা বাতাসে হাঁটা আদর্শ। খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে শরীর আরও সতেজ থাকে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে।শুরুতে ১০–১৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। শরীর অনুকূল হলে ২০–৩০ মিনিট এবং প্রয়োজনে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় বাড়ান। শুরুতে ধীরগতিতে হাঁটুন, ধীরে ধীরে গতি বাড়ান।
ক্যালোরি ঝরানোর কৌশল
চিকিৎসকের মতে, যদি দুটো গোলাপ জামের ক্যালোরি ঝরাতে চান, ৩০ মিনিট জোরে হাঁটা করলে ২০০–৩০০ ক্যালোরি পুড়ে যাবে। এক ঘণ্টা হাঁটলে আরও বেশি ক্যালোরি কমানো সম্ভব। তাই মিষ্টি খাওয়ার পরে নিয়মিত হাঁটা স্বাস্থ্য রক্ষায় খুব গুরুত্বপূর্ণ।পুজোর সময় মিষ্টি খাওয়া বন্ধ নয়, তবে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি মিষ্টি খাওয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব কমায়, শরীরকে সতেজ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পুজোর আনন্দ উপভোগ করুন, তবে স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হাঁটাকে রুটিনের অংশ করুন। আরও স্বাস্থ্যকর পরামর্শ ও প্রাকৃতিক ব্যায়াম সংক্রান্ত টিপসের জন্য আমাদের খবর আপডেট রাখুন।
পুজোর সময় মিষ্টি খাওয়া অনিবার্য, কিন্তু ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: দুটো গোলাপ জাম খাওয়ার পরে প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হালকা বা তীব্র হাঁটাহাঁটি করলে ক্যালোরি পুড়ে যাবে। সকালে প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটা আরও উপকারী।