রোজভ্যালি কমিটির অনিয়মে ফরেন্সিক অডিটের নির্দেশ, তদন্তে নামছে সেবি

রোজভ্যালি কমিটির অনিয়মে ফরেন্সিক অডিটের নির্দেশ, তদন্তে নামছে সেবি

রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ শেঠের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক অডিট করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে সেবি-কে।

আদালতের নির্দেশ

শুক্রবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সেবি প্রথমে রোজভ্যালির ১০টি সম্পত্তি বিক্রির বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে। বিক্রির সময় বাজারদরের তুলনায় কত কম বা বেশি দাম ধরা হয়েছিল, আর আসল দামে বিক্রি কত হয়েছে—সব হিসেব স্পষ্ট করতে হবে।

ফরেন্সিক অডিটে কী খতিয়ে দেখা হবে

রোজভ্যালি কমিটির সমস্ত হিসেবনিকেশ বৈধ কি না, তা খতিয়ে দেখবে সেবি। একইসঙ্গে, যে গ্রুপকে সামনে রেখে কমিটি হোটেল ব্যবসা চালাচ্ছিল, তাদের কাছ থেকে কীভাবে টাকা নেওয়া হয়েছিল এবং সেই প্রক্রিয়া কতটা বৈধ, সেটিও যাচাই করা হবে।

সেবি দায়িত্বে আপত্তি কমিটির

তবে এই অডিটে সেবির ভূমিকা নিয়েই আপত্তি জানায় রোজভ্যালি কমিটি। তাদের আইনজীবীর দাবি, কোর্ট চাইলে অন্য কোনও সংস্থা দিয়েও অডিট করাতে পারে। সেবি নাকি অ্যাকাউন্টসের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নয়। কিন্তু বিচারপতি পাল্টা মন্তব্য করেন, সেবির বিশেষ উইং রয়েছে, যাদের এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাই দায়িত্ব তাদের হাতেই দেওয়া হচ্ছে।

আদালতের প্রশ্ন ও সন্দেহ

মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবীরা একযোগে প্রশ্ন তোলেন—কমিটি কি কিছু লুকোতে চাইছে? যদি না হয়, তবে অডিটে আপত্তি কেন? বিচারপতি ভরদ্বাজও বলেন, জুন মাসে আদালত আনঅডিটেড অ্যাকাউন্টস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তখন যে নথি দেওয়া হয়েছিল, তা যথাযথ ছিল না। পরে নতুন রিপোর্ট জমা দিয়ে বলা হচ্ছে অডিট সম্পূর্ণ হয়েছে। এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে বলেই মন্তব্য আদালতের।

আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, এক বছর ধরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা আছে। অথচ আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি কমিটি। এই বিষয়েও তাদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

Leave a comment