জাতীয় মহাসড়কে টোল ট্যাক্সে বড় ছাড় ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। সেতু, টানেল কিংবা উঁচু রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এবার থেকে দিতে হবে আগের তুলনায় অর্ধেক কর! সরকারের দাবি, সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ কমাতে ও যাতায়াত সহজ করতে এই উদ্যোগ।
রক্ষণাবেক্ষণে অংশ নেবেন নাগরিকরাও
সরকার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ করলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ভার সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে রাখে না। সেই খরচের বড় অংশ আসে নাগরিকদের টোল ট্যাক্স থেকে। তাই জাতীয় সড়কে তৈরি হয় একাধিক টোল বুথ। এই কর নিয়েই বরাবর অসন্তুষ্ট ছিলেন যাত্রীরা। এবার সেই অসন্তোষে কিছুটা লাগাম টানতে উদ্যোগী কেন্দ্র।
সরাসরি ৫০% হ্রাস, কার্যকর ২ জুলাই থেকে
সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী পুরোনো টোল হার প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে ২০২৫ সালের ২ জুলাই থেকে। মূলত সেতু, টানেল, ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড করিডোরের মতো কাঠামোঘন হাইওয়ের ক্ষেত্রেই এই হ্রাস প্রযোজ্য হবে।
নতুন গাণিতিক পদ্ধতিতে টোল নির্ধারণ
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক তাদের ২০০৮ সালের টোল নীতিতে পরিবর্তন এনে এক নতুন সূত্র চালু করেছে। এর ফলে টোল কর নির্ধারণে আগে যে গাণিতিক পদ্ধতি ছিল তা বদলে আরও যুক্তিসঙ্গত, ন্যায্য পদ্ধতি চালু হল। এই পদ্ধতি শুধু যাত্রীদের জন্যই নয়, বরং পরিবহণ ক্ষেত্রেও তা হবে লাভজনক।
দুটি বিকল্প ভিত্তির মধ্যে কমটিকে মান্যতা
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, সেতু, ফ্লাইওভার কিংবা টানেলের দৈর্ঘ্যের ১০ গুণ অথবা পুরো হাইওয়ের কাঠামোর মোট দৈর্ঘ্যের ৫ গুণ— এই দুই গাণিতিক ভিত্তির মধ্যে যেটি কম, সেটিকেই ধরে টোল ধার্য হবে। ফলে একই রাস্তার ক্ষেত্রেও টোল হার অনেক কমে আসবে।
উদাহরণে আরও স্পষ্ট সুবিধা
একটি ৪০ কিমি দীর্ঘ ফ্লাইওভার হলে আগের নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের ৪০০ কিমি টোল গুনতে হতো (৪০x১০)। কিন্তু এখন ৫ গুণ হিসাবে ২০০ কিমি টোল দিতে হবে, যা কার্যত অর্ধেক। সাধারণ মানুষের আর্থিক সাশ্রয় এখানেই স্পষ্ট।
অর্ধেক খরচে যাতায়াত, বাড়ছে স্বস্তি
নতুন নিয়মে যাত্রীরা আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম টোল দিচ্ছেন। ফলে দীর্ঘ উঁচু সড়ক বা ফ্লাইওভার ব্যবহার করলেও এখন আর রসিদ দেখে আঁতকে উঠতে হবে না। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরক্ষা ও সুবিচারের কথা ভেবেই এই ট্যাক্স সংস্কার আনা হয়েছে।