থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা: বাণিজ্য চুক্তির শর্ত

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা: বাণিজ্য চুক্তির শর্ত

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা। যুদ্ধ চললে আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি করবে না, উভয় দেশকে সতর্ক করলেন তিনি। আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি।

Thailand Cambodia Ceasefire: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিরোধ (border conflict) চলছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে আবারও তীব্র হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং অনেকবার এই পরিস্থিতি সহিংস সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হলেও সীমান্তে গোলাগুলি ও সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ

এই উত্তেজনা দেখে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্প থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে উভয়কে যুদ্ধবিরতির (ceasefire) জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি দুই দেশের মধ্যে চলমান এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে চান এবং এর জন্য তিনি বাণিজ্যকে একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

'যদি যুদ্ধ না থামে, বাণিজ্য চুক্তি হবে না' - ট্রাম্প

ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে আমেরিকা উভয় দেশের সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে বাণিজ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সংঘাত চলতে থাকে, তাহলে আমেরিকা সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি (trade deal) থেকে সরে আসবে। তিনি এই কথাটি উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন কলের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তার মতে, আলোচনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ইঙ্গিত পেয়েছেন যে উভয় দেশই এখন যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়।

ভারত-পাকিস্তানের উদাহরণ দিয়ে মীমাংসার আশা দেখালেন

ট্রাম্প তার বিবৃতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার পরিস্থিতির উদাহরণ দিয়ে বলেন যে এই বিবাদও তিনি মিটিয়েছিলেন। তিনি বলেন, যদি বাণিজ্যের মাধ্যমে সংঘাত বন্ধ করা যায়, তবে এটি তার জন্য সম্মানের বিষয় হবে। তিনি দাবি করেন যে ভারত ও পাকিস্তানও একসময় একইভাবে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ছিল, কিন্তু তার প্রচেষ্টায় উভয় পক্ষ আলোচনার টেবিলে এসেছে।

ট্রাম্পের সতর্কবার্তার প্রভাব দেখা গেল

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুুমথাম ভেচয়চাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে উভয় দেশ যদি শীঘ্রই সীমান্ত বিরোধ শান্ত না করে, তাহলে আমেরিকা কোনও প্রকার বাণিজ্যিক সহযোগিতা বন্ধ করে দেবে।

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মতি

ট্রাম্পের এই কঠোর সতর্কবার্তার পর উভয় দেশের নেতারা পারস্পরিক আলোচনার জন্য সম্মতি জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে উভয় পক্ষই এখন যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। তিনি দাবি করেন যে শীঘ্রই উভয় দেশ বাণিজ্যিক আলোচনা (trading table) তেও ফিরতে ইচ্ছুক।

স্কটল্যান্ড থেকে ট্রাম্পের শান্তি বার্তা

বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি ট্রুথ সোশ্যাল (Truth Social) প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে জানিয়েছেন যে তার হস্তক্ষেপে উভয় দেশ আলোচনার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। ট্রাম্পের মতে, উভয় নেতা শীঘ্রই সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং সীমান্তে শান্তি পুনরুদ্ধারের দিকে কাজ করতে পারেন।

Leave a comment