কলকাতা–বিধানগরে ইডি তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এক কোটি টাকা ও বিলাসবহুল গাড়ি

কলকাতা–বিধানগরে ইডি তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এক কোটি টাকা ও বিলাসবহুল গাড়ি

ED Investigation Kolkata: মানব পাচারের অভিযোগে শনিবার সকালে কলকাতা ও বিধানগরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা নগদ এবং একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। এছাড়া চিহ্নিত করা হয়েছে কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যেগুলি থেকে পাচারকারীদের অর্থ লেনদেন হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, পানশালার আড়ালে সক্রিয় ছিল এক মানব পাচার চক্র, যার সূত্র দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছেছে।

মানব পাচারের অভিযোগে অভিযান

ইডি সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি চালানো হয়। অভিযোগ, কলকাতা ও বিধানগরের কিছু উচ্চবিত্ত ক্লাব ও পানশালা থেকে যুবতী মহিলাদের বিদেশে পাচার করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিও।ইডির দাবি, এই চক্রের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বিভিন্ন শেল কোম্পানির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হত, তারপর সেই অর্থ বিদেশে পাঠানো হত।

বিলাসবহুল গাড়ি ও নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত

অভিযানের সময় তল্লাশি চালানো হয় ছ’টি জায়গায়— এর মধ্যে রয়েছে বিধাননগরের এক আবাসন ও দক্ষিণ কলকাতার একটি পানশালা। উদ্ধার হয়েছে উচ্চমূল্যের গাড়ি, বিদেশি মদ, একাধিক মোবাইল ও নথিপত্র।ইডি–র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রায় ১ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে, যেগুলি থেকে নিয়মিত লেনদেন চলত পাচারকারীদের নামে।

লেনদেনের ছক ও জড়িতদের খোঁজে ইডি

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পাচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পানশালাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন। গ্রাহকদের আড়ালে মহিলাদের পাচারের জন্য যোগাযোগ তৈরি করা হত, তারপর ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ গোপনে সরানো হত।ইডি এখন সেই নেটওয়ার্কের মূল সূত্র ও বিদেশি সংযোগ খুঁজে বের করতে তৎপর। পাশাপাশি ব্যাংকিং রেকর্ড ও মোবাইল ডেটা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।

মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ ইডির। কলকাতা ও বিধানগরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা ও একাধিক দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, পানশালার আড়ালে চলছিল আন্তর্জাতিক মানব পাচারের ব্যবসা, জড়িত একাধিক প্রভাবশালী।

Leave a comment