পিসিএস অফিসার অরবিন্দ কুমার সিং-কে নিয়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। এই সাসপেনশনের পরে, মঙ্গলবার এই ঘটনাটি জেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
লখনউ: উত্তরপ্রদেশ সরকার আরও একবার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, কোনো স্তরেই শৃঙ্খলাভঙ্গ বরদাস্ত করা হবে না। সাম্প্রতিক ঘটনাটি পিসিএস অফিসার অরবিন্দ কুমার সিং-এর সঙ্গে সম্পর্কিত, যিনি বিজনৌর থেকে দেওরিয়াতে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তিনি তাঁর পদে যোগ দেননি। ফলস্বরূপ—সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রভাব-সহ সাসপেনশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বদলির পরেও পদে যোগ দেননি
অরবিন্দ কুমার সিং-কে এক মাস আগে বিজনৌর থেকে দেওরিয়া জেলায় এডিএম (অর্থ) পদে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু, বদলির আদেশ জারি হওয়ার পরে তিনি না তো রিপোর্ট করেছেন, না নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। সরকার এটিকে কর্তব্য এড়ানো এবং আদেশের অবজ্ঞা হিসেবে গণ্য করে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই ঘটনাটি এজন্যও আলোচনায় রয়েছে কারণ অরবিন্দ কুমার সিং-এর প্রশাসনিক কর্মজীবন এখন পর্যন্ত কোনো বিতর্ক ছাড়াই অতিবাহিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না, এমনকি তাঁর নামে কোনো গাফিলতির রিপোর্টও আসেনি। তা সত্ত্বেও, কেবল পদে যোগ না দেওয়ার কারণে সাসপেনশন জনতা এবং প্রশাসনিক মহলে অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে
- অরিন্দ কুমার সিং-এর সাসপেনশনের খবর পাওয়ার পরে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন যুক্তির বন্যা বয়ে গেছে।
- কিছু মানুষের ধারণা, সম্ভবত বিজনৌর থেকে মোহভঙ্গ হয়নি, তাই তিনি দেওরিয়াতে যোগ দেননি।
- অন্যদিকে, কিছু ব্যবহারকারী এটিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন যে, অফিসারের সরকারের কথা শোনা উচিত ছিল।
- কিছু মানুষ এও বলেছেন যে, দেওরিয়ার মতো দূরবর্তী জেলায় বদলি হওয়ার কারণে মানসিক এবং পারিবারিক চাপও একটি কারণ হতে পারে।
- আবার কিছু সমালোচক এটিকে সরকারের কঠোরতা বলে অভিহিত করে নিয়মের নমনীয়তা না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে কেন এই পদক্ষেপ জরুরি?
প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, কোনো অফিসার যদি বদলির আদেশের পরে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নতুন স্থানে যোগদান না করেন, তবে এটি সরাসরিভাবে সেবা নিয়মের লঙ্ঘন। এর ফলে শাসনব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং অশিষ্টাচার বাড়ে। সরকার বর্তমানে অরবিন্দ কুমার সিংকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এই তদন্তে দেখা হবে তাঁর যোগ না দেওয়ার পেছনে কোনো উপযুক্ত কারণ ছিল কিনা। তিনি কোনো প্রকারের অনুচিত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কি না। যদি তদন্তে কোনো জোরালো কারণ না পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর সাসপেনশন বহাল থাকতে পারে অথবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে।